ইউরোপে ছড়াচ্ছে 'বিদ্যুৎ গতিতে', ৮৯টি দেশে অমিক্রনের বিস্তার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৩০ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে করোনাভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এখন বিশ্বের অন্তত ৮৯টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। এটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও অনেক বেশি দ্রুততার সাথে ছড়াচ্ছে এবং মাত্র তিনদিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার নিয়ে ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অমিক্রন বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শদাতা বিজ্ঞানীরা বলছেন ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আরও কঠোর ব্যবস্থা না নিলে হাসপাতালগুলো বিশাল চাপের মুখে পড়বে। আর ফরাসি প্রধানমন্ত্রীও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, অমিক্রন এখন ইউরোপে 'বিদ্যুৎ গতিতে' ছড়িয়ে পড়ছে এবং সামনের বছরের শুরুতে ফ্রান্সে এটাই হবে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়া ধরণ।
যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে যাওয়া-আসার ওপর এরই মধ্যে ফরাসি কর্তৃপক্ষ নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তার কয়েক ঘন্টা আগে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। ইউরোপে এখনো পর্যন্ত অমিক্রন সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে যুক্তরাজ্যে। শুক্রবার সেখানে ১৫ হাজার অমিক্রন সংক্রমন ধরা পড়েছে পরীক্ষায়। ইউরোপ মহাদেশ জুড়ে এখন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
জার্মানি, আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসে নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ইউরোপে ৮ কোটি ৯০ লাখ কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কোভিড সংক্রান্ত কারণে মারা গেছে।
অনেক দেশ আবার কড়া বিধিনিষেধ ফিরিয়ে আনছে অমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে। জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রী শুক্রবার বলেছেন, তাদের দেশকে এখন এমন এক পরিস্থিতির জন্য তৈরি হতে হবে, যা এখনো পর্যন্ত এভাবে তারা দেখেননি।
জার্মানি এরই মধ্যে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং ডেনমার্ককে 'উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন' বলে ঘোষণা করেছে। শনিবার জার্মানিতে ৪২ হাজার সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। আয়ারল্যান্ডের সরকারও জানিয়েছে, সেখানে মোট কোভিড সংক্রমণের এক তৃতীয়াংশ এখন ঘটছে অমিক্রনের কারণে।
যুক্তরাজ্য থেকে যারা ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক কাজে ফ্রান্সে যাতায়ত করেন, তাদের জন্য ফ্রান্স শুক্রবার রাত থেকে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। ডোভার পোর্ট এবং ইউরোস্টার টার্মিনালে এর ফলে মানুষের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছিল এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগেই সীমান্ত পার হওয়ার জন্য।
শুধু ফ্রান্স নয়, এর আগে ইতালি, গ্রিস এবং পর্তুগালও ঘোষণা করেছে যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোন দেশ থেকে তাদের দেশে ঢুকতে হলে কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল থাকতে হবে।