avertisements 2

মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে ৬৪ জন নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:০৫ পিএম, ২৭ মার্চ,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:২১ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

মিয়ানমারজুড়ে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে এবার অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। শনিবার দেশটিতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হচ্ছে। এরমধ্যেই বিক্ষোভ অব্যাহত। মনে করা হচ্ছে, তা দমন করতেই এবার নির্বিচারে গুলি চালাল দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

শনিবার ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়সহ বিভিন্ন শহরে ‘মাথায়, পিঠে গুলিবিদ্ধ’ হওয়ার হুমকি উপেক্ষা করে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসেন। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয়। খবর রয়টার্সের

ইয়াঙ্গুনের দালা শহরতলীর একটি থানার বাইরে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত চারজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মিয়ানমার নাও।

বাণিজ্যিক এ রাজধানীর উত্তর দিকের জেলা ইনসেইনে একটি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে স্থানীয় একটি অনুর্ধ্ব-২১ ফুটবল দলের এক খেলোয়াড়ও আছেন বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।


স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাসিওতে তিন এবং ইয়াঙ্গুনের কাছে বাগো অঞ্চলে আরও চারজন নিহত হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে। উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় হোপিন শহরেও এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।

এদিকে মান্দালয়ে বিভিন্ন ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মিয়ানমার নাও। নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সের একটি শিশুও রয়েছে। রক্ত ঝরেছে মান্দালয়ের কাছের সাগাইং এলাকাসহও আরও কিছু অঞ্চলে।


সবমিলে শনিবার মিয়ানমারজুড়ে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে মিয়ানমার নাও। তবে রয়টার্স নিহতদের এ সংখ্যা সঠিক কি-না, তা যাচাই করতে পারেনি। সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্রের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতাদের জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী সিআরপিএইচের মুখপাত্র ড. সাসা বলেন, আজ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ‘লজ্জা দিবস’। ৩০০ এর বেশি নিরপরাধ বেসামরিক মানুষকে হত্যার পর সামরিক বাহিনীর জেনারেলরা সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করছেন।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে গত ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া আন্দোলনে মোট নিহত সংখ্যা এখন প্রায় ৩৮০। শুক্রবার পর্যন্ত এ সংখ্যা ৩২৮ এ ছিল বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি)।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2