avertisements 2

তিন জিম্মির বিনিময়ে মুক্তি পেলো ৯০ নারী-শিশু ফিলিস্তিনি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৫ | আপডেট: ০৩:৫৫ এএম, ২১ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৫

Text

 
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি রোববার কার্যকর হয়েছে। এর ফলে দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান হয়েছে।

চুক্তির আওতায় প্রথম দিনে ইসরায়েলি তিন নারী বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। বিনিময়ে কারাগার থেকে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত সবাই নারী ও শিশু। আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।

এর আগে রোববার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে হামাস রেড ক্রসের কাছে তিন ইসরায়েলি বন্দিকে তুলে দেয়। পরে তাদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। হামাস বলছে, গাজা থেকে প্রতিজন বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সাবেক জিম্মি রোমি গোনেন, এমিলি দামারি ও দোরোন স্টেইনব্রিচার এ মুহূর্তে নিরাপদ আছেন। তারা আমাদের কাছে আছেন। তারা বাড়ি ফিরছেন।’ গাজায় জিম্মিরা অমানবিক অবস্থায় আছে দাবি করে হ্যাগারি আরও বলেন, ‘যেসব জিম্মি এখনো অমানবিক অবস্থায় গাজায় আছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আমরা তাদের ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছি।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এরপর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার ৮৯৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ১০ হাজার ৭২৫ জন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অপরদিকে হামাসের আক্রমণে ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। হামাস ২০০ বন্দি করে নিয়ে আসে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম দিন মুক্তিপ্রাপ্ত ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে রয়েছে খালিদা জারার নামের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের (পিএফএলপি) নেতা।

চুক্তির প্রথম ধাপে হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে। যার মধ্যে নারী, শিশু এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষরা অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েল প্রথম ধাপে কারাগারে আটক সমস্ত ফিলিস্তিনি নারী ও ১৯ বছরের কম বয়সী শিশুদের মুক্তি দেবে। বন্দিদের সংখ্যা ৯৯০ থেকে ১,৬৫০-এর মধ্যে হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই চুক্তির আওতায় গাজায় প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক পর্যন্ত ত্রাণ সরবরাহ করা সম্ভব হতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৫১টি ট্রাক প্রবেশ করছে।  এই যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি সফল হলে তা কেবল সংঘাত থামাবে না, বরং মানবিক সাহায্যের মাধ্যমে গাজার পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হবে।

এর আগে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ৭ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়। ওই সময় ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। এরপর চুক্তিটি ভেস্তে যাওয়ার পর সামরিক শক্তি ব্যবহার করে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা জিম্মিদের মরদেহ আনতে পেরেছে।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2