অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে বিশাল ফিলিস্তিনপন্থী ব্যানার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:৩৭ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ছবি : সংগৃহীত
প্যালেস্টাইনপন্থী বিক্ষোভকারীরা ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে উঠে বিশাল এক ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছে। যেখানে লেখা ‘নদী থেকে সমুদ্র, ফিলিস্তিন হবে স্বাধীন হবে’। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় প্যালেস্টাইনপন্থী বিক্ষোভ হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। যার মধ্যে প্রধান শহরসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও ছিল।
অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়ে রাজি নয় যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং মে মাসে বলেছিলেন, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক শান্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগে এটাতে সম্মতি দিতে পারেন। গত সোমবার ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সমর্থনে সংসদীয় প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার পর লেবার পার্টি এক মুসলিম সিনেটর ফাতিমা পেম্যানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করে। পেম্যান বলেছিলেন, প্রস্তাবকে সমর্থন করার পর তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজের শ্রম সরকারের মধ্যে বিভাজন ঘটার পর বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে।
ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়ার সময় রেনেগেড অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপের চার ব্যক্তি প্রায় এক ঘণ্টা পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন তাদের পরণে ছিলে গাঢ় রঙের পোশাক এবং কয়েকটি বড় কালো এবং সাদা রঙের ব্যানার। সেগুলোর মধ্যে একটিতে ইসরায়েল কে উদ্দেশ্য করে লেখা ছিল, ‘চুরি করা জমিতে শান্তি নেই’।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন আবার বক্তৃতাও দিচ্ছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইসরায়েলি সরকার গাজায় ‘যুদ্ধাপরাধ’ করছে এবং অস্ট্রেলিয়ান সরকারও এই অবৈধ কাজের সহযোগী বলে অভিযোগ করেন।’
প্রতিবাদকারী চিৎকার করে বলছিলেন,‘আমরা অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে বলছি, আমরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী এবং পুঁজিবাদী স্বার্থের মুখোশ উন্মোচন এবং প্রতিরোধ চালিয়ে যাবো, যাদের জন্য আপনি নিজেকে উত্সর্গ করেছেন।’ ওই প্রতিবাদকারী আরো বলেন,‘অস্ট্রেলিয়া তাদের মহান এবং শক্তিশালী বন্ধুদের দালাল হিসেবে গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করতে সাহায্য করে চলেছে।’
মুষ্টিমেয় পুলিশ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার লোকেরা বিক্ষোভকারীদের ভবনের মূল প্রবেশদ্বারে সরাসরি প্রবেশ করতে নিষেধ করেছিল, তবুও ছাদে থেকে আরো অনেক বিক্ষোভকারীকে সরানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় তাদের।
এ বিষয়ে বিরোধী স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র জেমস প্যাটারসন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘এটা সংসদের নিরাপত্তার একটি গুরুতর লঙ্ঘন।
’ তিনি বলেন, ‘এই ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে একটি বড় খরচ করা হয়েছিল। এর তদন্ত প্রয়োজন।’
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রায় ৩৮ হাজার লোককে হত্যা করেছে। বেশিরভাগকে একাধিকবার জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে গণহত্যা করার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) একটি পিটিশন দায়ের করেছে। তবে গত মাসে জাতিসংঘের তদন্তে দেখা গেছে, গাজা যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই যুদ্ধাপরাধ করেছে। তদন্তে আরো বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড ব্যাপক বেসামরিক ক্ষতি কারণ।