ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২১
                                    
                                    
                                        
                                            ডেস্ক রিপোর্ট
                                        
                                    
                                   
                                     প্রকাশ:  ১২:০০ এএম,  ৩ জুলাই,
                                    বুধবার,২০২৪ | আপডেট:  ০৮:১৮ এএম,  ৩১ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২৫
                                
 
                        
                    ছবি : সংগৃহীত
ভারতের উত্তর প্রদেশের হাতরাস জেলায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১২১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই আজ বুধবার জানিয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকের সংখ্যা অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে তিনগুণ বেশি ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে পুলিশ ৮০ হাজার মানুষের উপস্থিতর অনুমোদন দিয়েছিল। তবে রয়টার্সের যাচাই করা পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে ২ লাখ ৫০ হাজার লোক উপস্থিত হয়েছিল।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এএনআই নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, অন্তত ১২১ জন নিহত এবং ২৮ জন আহত হয়েছে এ ঘটনায়।
উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং সাংবাদিকদের বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ১০৮ জন নারী এবং সাতটি শিশু রয়েছে। হাতরাস জেলার রতিভানপুর গ্রামের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সৎসঙ্গে একজন ধর্ম প্রচারক ও তার স্ত্রী ভাষণ দিচ্ছিলেন। সে অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ম প্রচারক সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবার ব্যানারে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই ধরনের অনুষ্ঠান করে আসছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল দৃশ্যের অবতারণা হয় যখন ধর্মসভার প্রচারক ভোলে বাবা তার গাড়িতে চলে যাচ্ছিলেন। পুলিশের প্রতিবেদন অনুসারে, হাজার হাজার ভক্ত চিৎকার করে গাড়ির দিকে ছুটে যায়। তখন কেউ কেউ পাশের ক্ষেত ও কাদামাটিতে পড়ে গিয়ে পদদলিত হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটি ভোলে বাবার ভক্তদের একটি দল আয়োজন করেছিল। তবে কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। ধর্মীয় গুরুর সন্ধান এখনও মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হতে পারেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু বাবা নারায়ণ হরি ওরফে ‘ভোলে বাবা’। পুলিশ তার অবস্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
হাতরাসের পুলিশ কর্মকর্তাদের মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাস্থলে যেতে পারেন। প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন।
এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন আগরার অতিরিক্ত ডিজিপি। পুলিশ সূত্রে খবর, ফুলরাই গ্রাম থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে মৈনপুরি এলাকায় অবস্থিত ভোলেবাবার আশ্রমে তদন্তকারীরা উপস্থিত হয়েছেন। প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
ধর্ম প্রচারক সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবার ব্যানারে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই ধরনের অনুষ্ঠান করে আসছেন। স্বঘোষিত ধর্মগুরু বাবা নারায়ন হরি ওরফে ভোলে বাবার প্রকৃত নাম সুরাজ লাল। তিনি উত্তর প্রদেশের ইতাহের জেলার পাতিয়ালি পঞ্চায়েতের বাহাদুরনগরী গ্রামের বাসিন্দা। সাধারণ কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা সুরাজ একসময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার হেড কনস্টেবল ছিলেন।
পরে ১৯৯৯ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ধর্মীয় বাণী প্রচারে মন দেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে নারয়ণ সাকার হরি রাখেন। পুলিশে তিনি প্রায় ১৮ বছর চাকরি করেন। প্রায় ২৭ বছর ধরে এই অঞ্চলে ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ধর্ম প্রচার করতেন। এই ঘটনার পর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
 
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর
 
                                    বিজ্ঞাপনে ক্ষুব্ধ হয়ে কানাডার ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়ে দিলেন ট্রাম্প
 
                                    স্পন্সর ভিসা নিয়ে বড় সুখবর দিলো ইতালি সরকার
 
                                    ট্রাম্পকে খুশি রাখতে কূটনীতি ও প্রশংসায় পাকিস্তানের বাজিমাত
 
                                    হামাস চুক্তির শর্ত না মানলে ফের অভিযান চালাবে ইসরায়েল: ট্রাম্প
 
                                    




