জমছে প্লাস্টিকের পাহাড়, কোটি টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্যে বিষাক্ত সমুদ্র
                                    
                                    
                                        
                                            ডেস্ক রিপোর্ট
                                        
                                    
                                   
                                     প্রকাশ:  ১২:০০ এএম,  ৬ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট:  ১০:২২ এএম,  ৩ নভেম্বর,সোমবার,২০২৫
                                
                        
                    পরিবেশ দূষণে সবচেয়ে বেশি মারাত্মক প্রভাব ফেলে প্লাস্টিক। এটি এমন একটি বস্তু যা কখনো বিনষ্ট হয় না। বছরের পর বছর এটি থেকে যায়। ফলে দূষণ আরও বাড়ে। সেই হিসেবে দেখতে গেলে পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আরও একটি বড় দিক সমুদ্র। বিশ্বজুড়ে মানুষ নানাভাবে সমুদ্রের উপর নির্ভরশীল। গোটা বিশ্ব জুড়ে সমুদ্রকে কেন্দ্র করে ভয়ানক আরও একটি সমস্যা বেড়ে উঠছে হু হু করে। যা নিয়ে চিন্তিত পরিবেশবিদরা। বর্তমান প্রজন্ম তো বটেই পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে পরবর্তী প্রজন্ম আদেও পৃথিবীতে টিকে থাকার উপযুক্ত হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই ভয়ানক সমস্যাটি হলো সামুদ্রিক বর্জ্য। মানবসৃষ্ট সমস্ত কঠিন পদার্থগুলোকে সমু্দ্রে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। যা পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা বলে মনে করছে পরিবেশবিদরা। জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের রিপোর্ট যা বলছে তা শুনলে চমকে যাবার মত বিষয়।
পোগ্রামের রিপোর্ট অনুসারে, প্লাস্টিক, কাচ, কাঠ ও রাবারকে প্রধান সামুদ্রিক বর্জ্য হিসেবে ধরা হয়। সারা বিশ্বের সামুদ্রিক বর্জ্যের মধ্যে ৬১ থেকে ৮১ শতাংশই হলো এগুলো। প্রতি বছর এক কোটি টনের বেশি প্লাস্টিকে দূষিত হচ্ছে সমুদ্রগুলো। আর তাতেই সমুদ্রে জমছে প্লাস্টিকের পাহাড়।
প্লাস্টিকদূষণের ফলে প্রতি বছর ১০ লক্ষ সামুদ্রিক পাখি এবং ১ লক্ষ সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু হয়। জানা গেছে সামুদ্রিক আবর্জনার অধিকাংশ আনুমানিক ৮০ শতাংশই ভূমিভিত্তিক উৎস থেকে আসে।ফলে সমুদ্রের মধ্যে ডেড জোন তৈরি হচ্ছে। ডেড জোন এমন একটি জায়গা যেখানে সামু্দ্রিক প্রাণির জন্য অক্সিজেন একেবারেই থাকে না।আবার বাতাস, বৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ হারিকেন, সুনামি, টর্নেডো ও বন্যার কারণে উপকূলীয় এলাকার আবর্জনা সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হয়। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ বর্জ্য আসে সমুদ্রভিত্তিক উৎস থেকে।
এর ফলে সমুদ্র দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বারবার সতর্ক করছেন পরিবেশবিদরা। এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ৮ থেকে ১২ মেট্রিক টন প্লাস্টিক সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়। যেখানে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সমুদ্রের পৃষ্ঠে ১৫ থেকে ৫১ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিকের টুকরো ভাসছে।


                                    
                                    
                                    
                                    
                                    


