পর্তুগালে ভ্রমণ ও সেঞ্জেন ভিসার অভিবাসন সুবিধা বন্ধ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৯:৫৫ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
আইবেরীয় উপকূলীয় ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমের আটলান্টিক পাড়ের ছোট দেশ পর্তুগাল। দেশটিতে নব্বই দশকের পর থেকেই বাংলাদেশিদের আসা-যাওয়া। সহজ শর্তে বৈধতা ও সহজ অভিবাসন নীতির ফলে দেশটি ধীরে ধীরে অভিবাসীদের নিকট ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে জনপ্রিয় অভিবাসন স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠে। ফলে দেশটিতে প্রতিদিনই নতুন অভিবাসীদের আগমন ও থেকে যাওয়ার প্রবণতা প্রবল আকারে ধারণ করেছে।
অবশেষে বন্ধ হতে যাচ্ছে ইউরোপের শেষ আশ্রয়স্থল অভিবাসীবান্ধব দেশ পর্তুগালের দরজা। সোমবার (৩ জুন) পর্তুগালের নতুন প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনেগ্রো মন্ত্রীসভার বৈঠকে অভিবাসননীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তনতা নিয়ে আসে, যা শিগগিরই গেজেট আকারে পাশ হবে। বৈঠকে দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী অন্তনিও লেইতা আমারোর ব্যাখ্যায় মোট ৪১টি অভিবাসন নতুন নীতিমালার প্রকাশ পায়।
অভিবাসনমন্ত্রী অন্তনিও লেইতা আমোরোপর্তুগারের অভিবাসনমন্ত্রী অন্তনিও লেইতা আমোরো।
নতুন নিয়মে অভিবাসী যারা দেশটিতে এসে নিয়মিত হতে পারবেন কিংবা পারবেন না, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অবৈধ ভাবে দেশটিতে প্রবেশ কিংবা ভ্রমণভিসা নিয়ে এসে নতুন করে বৈধতা পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি পারিবারিক ভিসা, কাজের ভিসা ও ছাত্র ভিসায় এসে দেশটিতে নিয়মিত হওয়া যাবে। নতুন এই নীতিমালায় আরো কিছু উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনার মধ্যে পর্তুগীজ কনসুলেট সেবার মান বৃদ্ধি, অভিবাসন সংস্থা আইমার পুনর্গঠন, অভিবাসীদের জন্য পুলিশের একটি আলাদা ইউনিট তৈরি, বর্ডার নিয়ন্ত্রণ, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নতুন কেন্দ্র তৈরি সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অভিবাসনবান্ধব দেশ পর্তুগাল নতুন করে অভিবাসীদের ঢল থামানোর জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করেছে। এসময় তারা আরো জানান, দেশটিতে প্রায় ৪ লাখ অভিবাসীদের নথি নতুন অভিবাসন সংস্থা আইমার কাছে অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। কর্মী সংকট থাকার কারনে নথি গুলো নিষ্পন্ন করতে সংস্থাটি হিমশিম খাচ্ছে। তাছাড়া তারা আরো মনে করেন, নতুন এ অভিবাসননীতি বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তানে অভিবাসীদের ইউরোপে ব্যাপক হারে প্রভাব বিস্তার করবে।