avertisements 2

ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হওয়া ভোট দেওয়া নিয়ে বিভক্ত ভোটাররা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২ জুন,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৫:৩৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

ফাইল ছবি

যৌন কেলেঙ্কারি ঢাকতে লুকিয়ে ঘুষ দেওয়ার তথ্য গোপন মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আগামী নির্বাচনে তাঁকে ভোট দেওয়া নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন ভোটাররা। এটি যেমন তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তেমনি সাধারণ ভোটাররাও বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। অন্যদিকে রায়ের পর দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হলো– কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। একইসঙ্গে আইনের শাসনের জয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। খবর বিবিসি ও নিউইয়র্ক টাইমসের

এই রায়ের পর বিবিসি কথা বলেছে ট্রাম্পের দলের সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে। সেখানে উঠে এসেছে ট্রাম্পকে সমর্থন করা নিয়ে তাদের দ্বিধাবিভক্তির চিত্র।

ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সমর্থক জিম সুলিভান মনে করেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে রায় হয়েছে তা পূর্বনির্ধারিত। এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। ৫৪ বছর বয়সী এই ভোটারের মতে, জুরির রায়ে পক্ষপাতিত্ব ছিল। 

জিম বলেন, ‘আমি আজীবন রিপাবলিকান সমর্থক। ২০১৬ এবং ২০২০ সালে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছি। ট্রাম্প আইনি মারপ্যাঁচ কাটিয়ে কীভাবে এগোবেন তা বিবেচ্য। তবে অনেক ভোটারের বিকল্প বাইডেন হলেও তিনি ট্রাম্পকেই সমর্থন করবেন। তবে ১০ মিনিট পর তিনিই আবার ফোন করে তাঁর মতামত পাল্টান। তিনি তখন জানান, প্রেসিডেন্ট হিসেবে একজন দোষী সাব্যস্ত অপরাধীকে সমর্থন করার কোনো উপায় নেই। এই চিন্তার পরিবর্তন করার জন্য ট্রাম্পকে আপিল করে অপরাধমুক্ত হতে হবে। তবে আমি কোনোভাবেই বাইডেনকে ভোট দেব না।

অন্যদিকে, নিউইয়র্কের ৫৯ বছর বয়সী ইয়ান গোটস বলেন, এটি যতটা না বিচার, তার চেয়ে বেশি ছিল ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট ও বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির একটি লড়াই। আমি মনে করি, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ভোটে ট্রাম্প জিততে চলেছেন। তবে তিনিও দ্বিধান্বিত। তিনি বলেন, আমি জানি না– ভোট দেব কিনা।

এদিকে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, জুরির রায়কে ট্রাম্পের সম্মান করা উচিত। একইসঙ্গে বিচারব্যবস্থাকে ‘বেপরোয়া,’ ‘বিপজ্জনক’ এবং ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ হিসেবে ধ্বংস করার প্রচেষ্টাকেও নিন্দা জানান তিনি। প্রসিকিউশন রাজনৈতিক প্রভাবিত ছিল– ট্রাম্পের এমন দাবিও প্রত্যাখ্যান করেন বাইডেন। 

ট্রাম্পকে আত্মরক্ষার সব সুযোগ দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় মামলা ছিল, ফেডারেল মামলা নয়। সুতরাং এর সঙ্গে তাঁর প্রশাসন যুক্ত নয়।

বাইডেন বলেন, ‘আমাদের বিচারব্যবস্থা প্রায় ২৫০ বছর ধরে টিকে আছে এবং এটি আক্ষরিক অর্থেই আমেরিকার ভিত্তি। আমাদের বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করা উচিত। কখনই এটিকে আমাদের ভেঙে ফেলার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। কারণ, এটিই আমেরিকা। এটিই আমরা।’ 
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2