avertisements 2

ট্রাকভর্তি লাশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:১৮ পিএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪

Text

ট্রাকভর্তি লাশ। একটির ওপরে আরেকটি মৃতদেহের ব্যাগ সাজানো। এসব মৃতদেহ নতুন খনন করা একটি গণকবরের কাছে নিয়ে অপেক্ষা করছে একটি ট্রাক। এতে আছেন ইসরাইলের নৃশংস হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের অজ্ঞাত লাশ। এসব লাশ পুড়ে গেছে অথবা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। ফলে তাদেরকে চেনার কোনো উপায় নেই। দাফন অনুষ্ঠান তত্ত্বাবধানকারীও অনেক সময় নিশ্চিত নন, এসব মৃতের শরীরে পুরোটা আছে কিনা। এমন বীভৎস ভয়াবহতা গাজার নিরীহ মৃত ব্যক্তিদের। আল আকসা মার্টিরস হাসপাতালের টিম এসব লাশের ইসলামসম্মত দাফন অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। হাসপাতালে লাশের গোসল তদারক করছেন ইয়াসের আবু আম্মার। 

আমরা আসলে তাদের ছিন্ন ভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, অঙ্গ পচে যাওয়া মৃতদেহ, পচন ধরা মৃতদেহ দাফন করছি। জীবনে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি কখনো। আবু আম্মার বলেন, মাত্র একটি ব্যাগে তিনি একটি পরিবারের ৬টি দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দাফন তদারকি করেছেন। এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মিলে আসলে একটি পরিপূর্ণ দেহ হয়। হাসপাতালটির মুখপাত্র মোহাম্মদ আলহাজ বলেন, এ পর্যন্ত তারা প্রায় ১৫০টি অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃতদেহ দাফন করেছেন। পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তাদের কমিটি এসব বিষয় প্রামাণ্য হিসেবে সংরক্ষণ করছেন। মৃতদেহগুলোতে নাম্বার দিয়ে ছবি তুলে রাখা হচ্ছে। মোহাম্মদ আলহাজ বলেন, ইসরাইলি বোমা হামলার তথ্যসহ আমরা সব বিষয় সংরক্ষণ করছি। এর তারিখ, স্থান এবং কোন সময়ে হামলা হয়েছে, তা সংরক্ষণ করছি। নিহত এবং আহতদের বিষয়েও তথ্য রাখছি। 

আবু আম্মার বলেন, এসব মৃতদেহকে চেনা খুবই কঠিন। নিহতের পরিবার চেনার চেষ্টা করে। তারা মৃতের পোশাকের অংশবিশেষ দেখে প্রিয়জনকে চেনার চেষ্টা করেন। বেশির ভাগই চিনতে পারেন না। আবু আম্মার বছরের পর বছর মৃতদেহের গোসল এবং দাফন তদারকি করে আসছেন। কিন্তু এবারই সবচেয়ে ভয়াবহতার মুখোমুখি তিনি। আবু আম্মার বলেন, যখন বাসায় যাই তখন সারাদিনে যা দেখেছি তা আমার মাথার মধ্যে এসে হাজির হয়। এটা নিয়ে চিন্তা থামাতে পারি না। এই মৃতদেহগুলো নিয়ে আমার ভীষণ ভীতি কাজ করে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2