মাংসখেকো পাখি দিয়ে নিহতদের লাশ খুঁজছে ইসরায়েল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:৪২ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলায় নিহতদের লাশ খুঁজতে এক অভিনব পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছে ইসরায়েল। তারা ঈগল, শকুনের মতো মাংসখেকো পাখির সাহায্যে লাশ খুঁজছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।
প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইসরায়েলের প্রকৃতি ও উদ্যান কর্তৃপক্ষের ওহাদ হাৎজোফে বলেছেন, হামাসের হামলার স্থানগুলোর আশেপাশে মৃতদেহ ভোজনকারী পাখির দেওয়া তথ্য ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে মৃতদেহ সনাক্ত করতে সহায়তা করছে৷ ঈগল, শকুন এবং ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগানো অন্যান্য শিকারী পাখি মানুষের দেহাবশেষের সন্ধানে ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, ‘যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন সেই ইউনিটে কাজ করা কিছু সংরক্ষক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছিল যে আমার পাখি কোনোভাবে সাহায্য করতে পারে কিনা।’
৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০–এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া অনেককে জিম্মি করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। চলছে স্থল অভিযানও। এতে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পাখির মাধ্যমে মরদেহের অবস্থান শনাক্তের বুদ্ধি এঁটেছিল ইসরায়েলি বাহিনীর মানবসম্পদ শাখার ‘ইআইটিএএন’ নামের একটি দল। এটি সেনাবাহিনীর মানবসম্পদ শাখার একটি ইউনিট যা নিখোঁজ সৈন্যদের সনাক্ত করে থাকে।
বিপন্ন গ্রিফন শকুন শনাক্তের একটি প্রকল্পের প্রধান ওহাদ। এই শকুনগুলো মূলত মৃত পশুপাখির মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে। এ ছাড়া ওই প্রকল্পের আওতায় ইগলের মতো অন্যান্য শিকারি পাখি নিয়েও কাজ করা হয়। সেগুলোও বেঁচে থাকতে মরদেহ খেয়ে থাকে।
গত ২৩ অক্টোবর এমনই একটি ইগল গাজা উপত্যকার কাছে ইসরায়েলের বেরি এলাকায় পাওয়া যায়। ওহাদ বলেন, তিনি ওই ইগলের শরীরে লাগানো ট্র্যাকিং ডিভাইস থেকে পাওয়া তথ্য সেনাবাহিনীর কাছে পাঠান। পরে ওই এলাকায় গিয়ে চারটি মরদেহ পাওয়া যায়। অপর একটি ইগল ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আরও কয়েকটি মরদেহ খুঁজতে সহায়তা করেছে।