avertisements 2

৫ কোটির মানুষের দেশে তিন মাসে জন্মায়নি একটিও শিশু!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৫১ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

সর্বনিম্ন জন্মহার নিয়ে এর আগেও চর্চায় উঠে এসেছে ইতালি। তবে এবার বোধহয় নিজেদের সমস্তরকম রেকর্ডই ভেঙে ফেলল দেশটি। এক পরিসংখ্যান বলছে, তিন মাসে একটিও শিশু জন্মায়নি এখানে। এমনিতে ৫ কোটি জনসংখ্যার দেশ। তবে এভাবে চললে আগামী কয়েক দশকে এই দেশের জনসংখ্যা কমে ৪ কোটিতে নেমে আসতে পারে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।
 
ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স ব্যুরো (আইএসটিএটি) যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত যে সংখ্যক শিশু ইতালিতে জন্মেছে চলতি বছরে সে তুলনায় সাড়ে ৩ হাজার কম শিশুর জন্ম হয়েছে। ২০২২ সালে সে দেশে সার্বিক জন্মের হার নিয়েই জোর চর্চা হয়েছিল। আইএসটিএটি বলছে, এ বছর জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ফার্টিলিটি রেট যা তাতে বার্ষিক জন্মের হার আরও অনেকটাই কমবে।

 আইএসটিএটি-এর রিপোর্ট বলছে, ইতালিতে মহিলাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয় মায়ের ৩১ বছর বয়সে। শুধু তাই নয়, গত বছর এমনও দেখা গিয়েছে, ৪১.৫ শতাংশ শিশুর মা-ই অবিবাহিত। এক আন্তর্জাতিক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন মাসে ইতালিতে একটিও বাচ্চার জন্ম হয়নি। কিন্তু কেন এমন চিত্র? ওই প্রতিবেদন বলছে, সে দেশে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি মেয়ে বা মহিলার সংখ্যা অনেকটাই কম। অর্থাৎ এই বয়সি যারা সন্তানধারণ করতে পারে, সেই সংখ্যাটাই নিম্নমুখী। হয় মেয়েদের বয়স ৫০-এর উপরে কিংবা ১৫-এর নীচে। ক্রমেই জনসংখ্যার দিকটি এ দেশে সঙ্কটের জায়গায় চলে যাচ্ছে।

গত বছরই এই বিষয়টিকে কার্যত ‘ন্যাশনাল এমার্জেন্সি’ হিসাবে দেখেছিলেন ইতালির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। আইএসটিএটি-এর প্রতিবেদন বলছে, গত বছর ইতালিতে প্রতি ৭ শিশুর জন্মে ১২ জনের মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে জনসংখ্যা কমেছে দ্রুত হারে। গর্ভাবস্থার সপ্তম মাস থেকে জন্মের পর ২১ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে নানা আর্থিক সুবিধার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে ইতালিতে। সেখানকার জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, তারপরও পরিস্থিতির যে মোটে বদল আসেনি, তিন মাসে একটি শিশুর জন্ম না হওয়া তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2