গণকবরে দাফন এড়াতে আইডি ব্রেসলেট পরছে গাজার পরিবার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:১৩ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, শত শত লাশ নিয়ে গাজার ফিলিস্তিনিরা অজ্ঞাত মৃতদের নামের পরিবর্তে সংখ্যা দিয়ে গণকবরে দাফন করছে। এখন কিছু পরিবার নিহত হলে তাদের প্রিয়জনকে খুঁজে পাওয়ার আশায় ব্রেসলেট ব্যবহার করছে। এমনিভাবে আল-দাবা পরিবার গাজায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ইসরাইলি বোমা হামলার সময় নিহত হওয়ার ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করেছে। ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলি শহরগুলোতে আক্রমণ করার পর ইসরাইল বিমান হামলা শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৪ শিশুসহ মোট ৭৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এতে বলা হয়, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বোমা হামলায় অন্তত ৬,৫৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ২,৭০৪ শিশু রয়েছে।
আলি আল-দাবা (৪০) বলছেন যে, তিনি বোমা হামলায় ছিন্নভিন্ন লাশ দেখেছেন এবং চিনতে পারছেন না। তিনি বলেন, ইসরাইলি বিমান হামলায় তাদের একই পরিণতি রোধ করতে তিনি তার পরিবারকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, তার ৪২ বছর বয়সী স্ত্রী লিনা, তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে উত্তরে গাজা সিটিতে রেখেছেন এবং তিনি আরো তিন সন্তানের সাথে দক্ষিণে খান ইউনিসে চলে গেছেন।
আল-দাবা বলছেন যে, তিনি সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের জন্য নীল স্ট্রিং ব্রেসলেট কিনেছেন এবং উভয় কব্জিতে বেঁধে দিয়েছেন। ‘যদি কিছু হয়’, তিনি বললেন, ‘এভাবে আমি তাদের চিনতে পারব’।
অন্য ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোও তাদের বাচ্চাদের জন্য ব্রেসলেট কিনছে বা তৈরি করছে বা তাদের বাহুতে তাদের নাম লিখে রেখেছে। গণদাফনের অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় আলেমগণ। দাফনের আগে চিকিৎসকরা মৃতদের ছবি এবং রক্তের নমুনা রাখেন এবং তাদের নম্বর দেন।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী মানুষকে বলেছে বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ স্থান গাজা উপত্যকার উত্তরদিক ছেড়ে দক্ষিণে চলে যেতে, কারণ এটি নিরাপদ। কিন্তু গাজাজুড়ে বিমান হামলা হচ্ছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী রাতভর দক্ষিণ গাজায় তাদের বোমাবর্ষণ জোরদার করেছে। পানি, খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ সঙ্কটের সম্মুখীন হওয়া অবরুদ্ধ এলাকায় সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশ্ব নেতারা লড়াই বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।