গাজার খান ইউনিস
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের ঘর-অলিগলিতে ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:২০ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
গাজার খান ইউনিসে ঘর-অলিগলিতে ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড়। মানবিক সংকটের মাঝেও চলছে ইসরায়েলি এবং হামাসের পাল্টা প্রতিরোধ। যদিও প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, হামাস মানেই ফিলিস্তিন নয়। ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ২৭শ' জনের বেশি ফিলিস্তিনি। বিপরীতে রকেট হামলা চালিয়ে ১৪শ'র বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে হামাস।
জল, স্থল ও আকাশপথে চালানো হবে অভিযান। তাই গাজার উত্তরে বসবাসকারী ১ কোটি ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে একদিনের মধ্যে দক্ষিণে সরে যেতে বলে ইসরায়েল। ফলে গাজা উপত্যকার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে মানুষের সংখ্যা রাতারাতি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তাদের প্রত্যেকেরই আশ্রয় এবং খাবারের প্রয়োজন এবং সেটা কতদিন ধরে দরকার হবে কেউ জানে না।
খান ইউনিসের বাসিন্দারা নতুন আসা এই মানুষদের সাদরে গ্রহণ করেছে। খান ইউনিস আগে থেকেই বেশ ঘনবসতি এলাকা অর্থাৎ অনেক মানুষ অল্প জায়গায় বসবাস করতেন। এখন নতুনরা আসায় তারা রীতিমতো ঠাসাঠাসি করে থাকছেন।
কারো ঘর-বাড়ি ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে, কেউ হারিয়েছেন প্রিয়জনকে। পালিয়ে আসা এই মানুষগুলো জানে না পরের গন্তব্য কোথায় বা ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে।
তীব্রতর মানবিক সংকটের মাঝেই বাড়ছে ইসরায়েলের হামলা ও সামরিক অভিযান। দিনভর বোমা হামলায় অনেক ভবন ধসে গেছে।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধে জরুরি বিশ্ব সম্মেলন ডাকার আহ্বান জানিয়েছে চীন। বলা হচ্ছে, গাজায় বেসামরিক লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনে-এমন যে কোনো সামরিক হামলার বিরোধী বেইজিং।
আর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল সফরে হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। বুধবার ইসরায়েল সফর শেষে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে যাবেন তিনি।
এদিকে, হামাস থেকে দূরত্ব তৈরি করলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেছেন, হামাসের নীতি কিংবা হামলা ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে না।