avertisements 2

মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:১৭ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪

Text

 

মরক্কোতে এযাবৎকালের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে।

বিবিসি জানায়, ১৫শ’র বেশি মানুষ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের মারাকেশ এলাকায়। অনেকেই খোলা জায়গায় রাত কাটাচ্ছেন। 

রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ এরই মাঝে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। 

মরক্কোতে খাবার ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। 

পাথুরে এলাকাগুলোতে উদ্ধার কাজ চালানো বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে। ওই অঞ্চলে এমন অনেক দুর্গম গ্রাম রয়েছে, যেখানে পৌঁছানো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। তাই এই ভূমিকম্পের আসল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কী, তা নিশ্চিতভাবে জানতে বেশ কয়েক দিন লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এটলাস পর্বতমালার অনেক দূরের একটি এলাকায় হলেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে সেখান থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী রাবাত ছাড়াও কাসাব্ল্যাংকা ও এসাউইরাতে। উৎপত্তিস্থলের কাছে পর্বত এলাকার সাধারণ ভবনগুলো হয়তো টিকে নেই এবং অনেক দূরের এলাকা হওয়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সময় লাগতে পারে।

এদিকে, মরক্কোতে যেন মানবিক সহায়তা পাঠানো সহজ হয়, সেজন্য আলজেরিয়া তাদের এয়ারস্পেস ব্যবহার করতে দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চলার পর ২০২১ সালে আলজেরিয়া মরক্কোর সাথে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

তবে ভূমিকম্পের পর আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে 'ভাতৃপ্রতিম মরক্কান মানুষকে সহায়তার জন্য' তারা মানবিক সহায়তা ও লোকবল সরবরাহ করতে প্রস্তুত।

মরক্কো এর আগেও বেশ কয়েকবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পড়েছে। ২০০৪ সালে দেশটির উত্তর-পূর্বের আল হোসেইমা অঞ্চলে ভূমিকম্পে ৬২৮ জন মারা গিয়েছিল। আর ১৯৬০ সালে আগাদির অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে অন্তত ১২ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2