ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা : কলাম্বিয়ায় জরুরি অবস্থা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ আগস্ট,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:৪৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কানাডার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ দাবানল। ব্রিটিশ কলম্বিয়া থেকে শুরু করে পূর্বাঞ্চলের কিউবেক পর্যন্ত বর্তমানে প্রায় এক হাজার সক্রিয় দাবানল জ্বলছে। আগুন থেকে বাঁচতে সেখানকার বাসিন্দারা নানাভাবে এলাকা ছাড়ছে। ভিড় বেড়েছে স্থানীয় বিমানবন্দর ও মহাসড়কগুলোয়। এর আগে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে জানায়, অঞ্চলটির রাজধানী ও বড় শহর ইয়েলোনাইফের দিকে এগোচ্ছে দাবানল। সংবাদসূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স
ভয়াবহ দাবানলের কারণে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দাবানলে আরো ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে প্রশাসন। শনিবার (১৯ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
দাবানলের কারণে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের কেলোনাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। অপরদিকে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলগুলোর রাজধানী ইয়েলোনাইফের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আর এমন ঘোষণার পর ইয়োলোনাইফের সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা গেছে। সেখানকার বাসিন্দারা শহর ছাড়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে উদ্ধারকারী বিমানে করে পালানোর চেষ্টা করছেন তারা।
শুক্রবার বিমানের আসন ‘বুক’ করার জন্য শত শত মানুষকে স্থানীয় একটি স্কুলে লাইন ধরতে দেখা গেছে। তবে এদিন বিকালে স্থানীয় সরকারের যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক আমি কেনেডি জানান, উদ্ধারকারী বিমানে করে চার শতাধিক বাসিন্দাকে সরানো সম্ভব নয়। তবে শুক্রবার সেখানকার মানুষকে সরিয়ে নিতে অন্তত ২২টি ফ্লাইট পরিচালনার কথা রয়েছে।
দ্রুতগতিতে শহরের দিকে দাবানল এগিয়ে আসায় এ নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা সঙ্গে ক্ষোভ বাড়ছে। তাদের অভিযোগ, উদ্ধার অভিযানে বিলম্ব হচ্ছে।
প্রসাসন আরো জানিয়েছে, চলতি বছর আমরা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাওয়ায় আমরা প্রাদেশিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছি। এ আদেশে নির্দিষ্ট এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে।
এদিকে কানাডার নর্থ ওয়েস্ট টেরিটরির রাজধানী ইয়েলোনাইফ শহর থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার আনুষ্ঠানিক সময়সীমা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। শহরের উপকণ্ঠের দিকে অগ্রসর হওয়া দাবানল থেকে বাঁচার জন্য বাসিন্দারা আকাশ ও সড়কপথে পালানোর চেষ্টা করছেন।
কানাডায় এ বছর বেশি গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, গ্রীষ্মের এই সময়ে আগামী দিনগুলোতে দাবানল পরিস্থিতি আরো চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের কেলোনা নগরীর কর্মকর্তারা।