সুদান ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ, সংঘাত অব্যাহত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ মে,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৩৫ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সুদানে সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও তিনদিন বাড়ানো হয়েছে। তবে সংঘাত থামেনি। দু’পক্ষের এই ক্ষমতার লড়াই থেকে প্রাণ বাঁচাতে দলে দলে দেশ ছাড়ছে মানুষ।
সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান জানিয়েছিলেন, প্রতিপক্ষ রাজি থাকলে তারা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চান। পরে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষ থেকে জানানো হয়, আস্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তারা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়াতে রাজি। সেনাবাহিনীও এই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়।
তবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লেও সুদানে সংঘর্ষ থামেনি। রোববার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতেও সেনা ও আধা-সামরিক বাহিনী লড়াই করে গেছে। বিমান-হামলা হয়েছে, চলেছে গোলাবর্ষণ। রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার রাতে রাজধানী খার্তুমে প্রবল লড়াই হয়েছে। তবে রোববার সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা খার্তুমের পশ্চিমে আরএসএফের একটি কনভয় ধ্বংস করেছে। আরএসএফ অভিযোগ করেছে, তাদের ওপর গোলা নিক্ষেপ করা হচ্ছে, বিমান হামলাও চলছে।
সুদানে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতি একমত হলো দুই পক্ষ। কিন্তু এর মধ্যে উভয় পক্ষই একে অপরকে আক্রমণ চালিয়ে গেছে। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই পক্ষের এই ক্ষমতার দ্বন্দ্বে অন্তত পাঁচশ মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি।
জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংগঠন জানিয়েছে, সংঘাতের জেরে অন্তত ছয় হাজার মানুষ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে চলে গেছেন। প্রতিবেশী দেশ চাদে গেছেন ২০ হাজার মানুষ। সুদানে ৭৫ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। যারা সুদান ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন, তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী।
সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়ে দুই ক্ষমতাধর সামরিক অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াই চলছে। দেশটির বর্তমান সামরিক সরকার চলে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে রয়েছেন আরেকটি আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি দাগালো। বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা।
কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য নিজেদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এরপর তা সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে।