অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টের এক-তৃতীয়াংশ কর্মচারী যৌন হয়রানির শিকার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৫৪ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টের নারী কর্মীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই যৌন হয়রানির শিকার হন- সম্প্রতি এমন তথ্য উঠে এসেছে এক প্রতিবেদনে। এসব নারী তাদের কর্মক্ষেত্রেই হয়রানির শিকার হন।
চলতি বছরের শুরুতে ব্রিটানি হিগিন্স নামে এক কর্মচারী যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন। একজন মন্ত্রীর দপ্তরের সাবেক ওই কর্মচারী বলেন, একজন সহকর্মী তাকে ধর্ষণ করেছেন। তার ওই অভিযোগের পর দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় একের পর এক ঘটনা সামনে আসতে শুরু করে।
upay
এই পরিস্থিতির অনুসন্ধান করে ‘সেট দ্য স্ট্যান্ডার্ড’নামের ওই প্রতিবেদনে যৌন বৈষম্য সংক্রান্ত কমিশনার কেট জেংকিন্স বলেন, ‘এসব ঘটনার শিকারদের মধ্যে নারীর সংখ্যা অস্বাভাবিক রকম বেশি। কর্মচারীদের ৫১ শতাংশেরই কোনো না কোনো ধরনের নিগ্রহ, যৌন হয়রানি এবং যৌন আক্রমণ বা আক্রমণের চেষ্টার অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়। এতে ১,৭২৩ জন ব্যক্তি ও ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ৬৩ শতাংশ নারী পার্লামেন্ট সদস্যই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, আর নারী রাজনৈতিক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এর অনুপাত আরও বেশি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করে একজন এমপি বলেছেন, ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী পুরুষ রাজনীতিবিদরা এগুলোকে কোনো ঘটনা বলেই মনে করেন না। নারীদের উঠিয়ে নেওয়া, ঠোঁটে চুমু দেওয়া, স্পর্শ করা, নিতম্বে চাপড় দেওয়া, নারীর চেহারা নিয়ে মন্তব্য করা- এগুলো সাধারণ ঘটনা। আমি যেটা বলতে চাই, সংস্কৃতি এটাকে অনুমোদন করেছে, উৎসাহিত করেছে।’
প্রতিবেদনের ব্যাপারে জেংকিন্স বলেন, ‘এসব ঘটনার শিকার এবং তাদের সহযোগীদের জন্য এসব ছিল মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা এবং তা পার্লামেন্টের কাজের মান ক্ষুণ্ণ করেছে, দেশেরও ক্ষতি হয়েছে।’
ওই প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যকে ‘চরম দুঃখজনক’বলে আখ্যায়িত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তবে এর আগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে নারী সংক্রান্ত এসব ব্যাপারে মরিসন বধির। এ ছাড়া দেশটির নেতৃত্বের মান উন্নয়ন, নারী-পুরুষের অনুপাত বাড়ানো এবং মদ্যপানের প্রবণতা কমানোর সুপারিশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।