অস্ট্রেলিয়া জানুয়ারিতে করোনা ভ্যাকসিন পেতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৩০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৫৩ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আগামী জানুয়ারি মাসেই অস্ট্রেলিয়ার হাতে আসতে পারে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক, জানালেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন৷
অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট ও প্রধানমন্ত্রী সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান যে, আগামী জানুয়ারিতে করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ব্যাচ পেতে পারে অস্ট্রেলিয়া৷ বর্তমানে এই প্রতিষেধকের বাস্তবায়নে অস্ট্রেলিয়া সরকার দু'টি গবেষণা দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ৷
এরমধ্যে আছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও আস্ট্রাজেনেকা প্রতিষ্ঠানের দল আর অন্যদিকে, সিএসএল সংস্থার একটি দল, যারা কুইনসল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত৷
এই দু'টি দলই বর্তমানে করোনা প্রতিষেধকের কাজে উঠে-পড়ে লেগেছে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হান্টের মতে, এই দুই প্রতিষেধকই করোনা সংক্রমণের হাত থেকে প্রতিষেধকপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বেশ কয়েক বছরের জন্য নিরাপদ রাখতে সক্ষম হবে, এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে৷
প্রতিষেধকের দৌড় কদ্দূর?
দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সাফল্যের সাথে পেরোলে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই প্রতিষেধকের প্রায় ৪০ লাখ ডোজ এসে পৌঁছাবে অস্ট্রেলিয়ায়৷ এই মুহূর্তে, এই প্রতিষেধকের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায়৷
’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে আছে ১৭০ টির বেশি উদ্যোগ৷ একেকটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা-পর্ব সারতেই সাধারণত বছরের পর বছর সময় লাগে৷ তবে কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে তা ১২ থেকে ১৮ মাসে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা৷
আস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় ‘এজেড১২২২’ প্রতিষেধকটি বর্তমানে বিশ্বের করোনা প্রতিষেধক প্রস্তুতের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে৷
একদিকে আস্ট্রাজেনেকা ও অন্যদিকে সিএসএল, দুটি প্রতিষেধক সাফল্যের মুখ দেখলে অস্ট্রেলিয়ার বাজারে আনতে সরকারের মোট খরচ হবে এক দশমিক ২৪ বিলিয়ন, অর্থাৎ ১২৪ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি বাংলাদেশি টাকা)৷