রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ জুলাই,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪৯ এএম, ১৮ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৫
৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংক এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (এসিইউ) আমদানির অর্থ পরিশোধের অনুমোদন দেয়ার পর রিজার্ভ কমে যায়।
এর আগে বাংলাদেশ গত সপ্তাহে এসিইউ-এর সঙ্গে ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আমদানি পেমেন্ট নিষ্পত্তি করেছে। এর ফলে প্রায় দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আজ রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।
এসিইউ হলো এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলি আঞ্চলিক লেনদেনের জন্য আমদানি পেমেন্ট নিষ্পত্তি করে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এসিইউ-এর সদস্য। ইরানের রাজধানী তেহরানে এর সদর দপ্তর। এই ব্যবস্থায় দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করতে হয়।
এদিকে রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলারের মজুদ চাপে আছে। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের মধ্যে আমদানি ব্যয় ৩৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৫ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। সেই তুলনায় রপ্তানি আয় ৩৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৪ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবার রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। গত অর্থবছরে প্রবাসীরা অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে অর্থ পাঠানোয় রেমিট্যান্স আসে ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বৈদেশিক হাতে থাকা রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশ প্রায় ৬ মাসের আমদানি বিল পরিশোধ করতে পারবে।
মঙ্গলবার ব্যাংকে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ছিলো ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। আর নগদ ডলার কিনতে গ্রাহককে ব্যয় করতে হয়েছে ৯৬ থেকে ৯৮ টাকা। খোলা বাজারে ডলার এখন ৯৯ টাকায়। রেমিটেন্স আনলে প্রবাসীরা এখন প্রতি ডলারে ৯৭ টাকা পর্যন্ত পাচ্ছেন বিভিন্ন ব্যাংকে। এর সঙ্গে রয়েছে সরকারের দেয়া আড়াই শতাংশ নগদ প্রনোদনা।