খোলা বাজারে ডলারের দাম বাড়তি, দাম বেড়ে ১২৫ টাকা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ জুলাই,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:০৪ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের অজুহাতে খোলাবাজারে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় মূল্য এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৬ টাকা দরে। অথচ কয়েকদিন আগেও খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছিলো ১২০ থেকে ১২২ টাকা দরে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান অচলাবস্থার কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এর মধ্যে খবর এসেছে ভাটা পড়ছে প্রবাসী আয়ের ব্যাংকিং চ্যানেলে। এমন পরিস্থিতিতে দিলকুশা মানি এক্সচেঞ্জ গুলো আজ ডলার বিক্রি করছে ১২৫ টাকা দরে। যেখানে সোমবারও তারা ১২১ টাকা ৬০ থেকে ৭০ পয়সায় ডলার কিনে বিক্রি করেছেন ১২২ টাকা।
জানা গেছে: কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে টানা ৫ দিন পর গত বুধবার অফিস খোলার পর ডলারের বাড়তি চাহিদার কারণে দর বাড়তে শুরু করে। ওই দিন তারা ১২১ টাকা থেকে ১২১ টাকা ১০ পয়সায় কিনে বিক্রি করেন ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে আজ এ পর্যায়ে উঠেছে। সরবরাহ কম থাকায় ডলারের দর বাড়ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন: চলতি মাসের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গুজব ছড়ানোর ফলে দেশে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন করছেন অনেক প্রবাসী। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে খোলা বাজারে।
এদিকে প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় শীর্ষ একডজন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ডেকে প্রবাসী আয় বাড়াতে জোর দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো প্রতি ডলার ১১৭-১১৮ টাকা দরে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করে আসছিল। প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার তাদের কিছুটা বাড়তি দাম দিয়ে হলেও আয় বৈধ পথে আনতে বলা হয়েছে।
ডলারের কম দামের কারণে ব্যাংকের মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয় যাতে হুন্ডিতে চলে না যায়, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। এখন তা ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে।
বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে গত ৮ মে ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর পর ডলারের দর এক লাফে ৭ টাকা বেড়ে মধ্যবর্তী দর ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ফলে দুই মাসের বেশি সময় ধরে ডলারের দর ১১৭ থেকে ১১৮ টাকায় স্থিতিশীল ছিল। এখন এটা বাড়তে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ১ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৩৭ কোটি ডলার। ৭ থেকে ১৩ জুলাই এসেছে ৬০ কোটি ৮১ লাখ ডলার। ১৪ থেকে ২০ জুলাই এসেছে ৪৫ কোটি ডলার। এই সাত দিনে গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার। আর ২১ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত এসেছে ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। চতুর্থ সপ্তাহ গড়ে তা এসেছে ১ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। অর্থাৎ তৃতীয় সপ্তাহের চেয়ে চতুর্থ সপ্তাহ রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ৬৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।