যুক্তরাষ্ট্রে থেকেও সিলেটে শিক্ষকতা করেন জেসমিন!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:০৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
তিন মাসের ছুটি নিয়ে পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। এরপর থেকে বিদ্যালেয়ে অনুপস্থিত। তবুও ব্যাংক থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন তিনি। এমন অভিযোগ সিলেটের গোলাপগঞ্জের দক্ষিণ রায়গড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা জেসমিন সুলতানার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে সিলেট বিভাগীয় শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের নতুন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান খান।
অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল সৈয়দা জেসমিন সুলতানা রায়গড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। এক বছর নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও এরপর ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে প্রায় ৫ বছর ধরে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। অনুপস্থিত থেকেও তিনি নিয়মিত বেতনের টাকা উত্তোলন করে আসছেন। ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেসমিন সুলতানা সোনালী ব্যাংকের ঢাকা দক্ষিণ শাখা থেকে মোট ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে অভিযোগের পর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বিয়ানীবাজার উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুমান মিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে তদন্ত করেন।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা রুমান মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ সদস্যদের বক্তব্য শুনেছি। এছাড়া বিদ্যালয়ের খাতাপত্র দেখেছি। প্রধান শিক্ষক সৈয়দা জেসমিন সুলতানা বিদ্যালয়ে যে অনুপস্থিত তার সত্যতা পাওয়া গেছে। শিগগিরই এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেব।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান খান বার্তা ২৪.কমকে জানান, বিদ্যালয়ের সংরক্ষিত তথ্যমতে প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা জেসমিন সুলতানা ২০১৩ সালে যোগদান করার পর থেকে মাঝে-মধ্যে স্কুলে আসতেন।
তিনি প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, হাজিরা খাতা ও স্লিপের টাকা নিয়ে প্রায় পাঁচবছর ধরে স্কুলে আসেন না। শুনেছি সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তবে ২০১৭ সালে এসে ব্যাংক থেকে সরকারি বেতন উত্তোলন করার সময় কয়েকদিন বিদ্যালয়ে এসেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়তি রাণী চন্দের সাথে। তিনি প্রতিবেদককে জানান, প্রধান শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অনেক আগে জানানো হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেওয়ান নাজমুল আলম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, জেসমিন সুলতানা কয়েক বছর আগে তৎকালীন শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে তিন মাসের চিকিৎসাজনিত ছুটি নিয়েছিলেন। এখন তিনি কোথায় আছেন আমার জানা নেই।