avertisements 2

জলেমগ্ন সিলেট : ডুবেছে অর্ধশতাধিক এলাকা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ অক্টোবর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:২৬ পিএম, ১৭ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

অবিরাম বৃষ্টিতে ফের জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সিলেট। নগরের অর্ধশতাধিক এলাকা তলিয়ে গেছে পানিতে। সড়ক, বাসা-বাড়ি, দোকানপাট সব পানিতে একাকার। এতে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন ভোগান্তিতে পড়া নগরের বাসিন্দরা। তবে দুপুরের দিকে বৃষ্টি কিছুটা কমলে পানি আস্তে আস্তে কমতে থাকে।

এদিকে পানি ঢুকে পড়েছে এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়ও। হাসপাতাল চত্বর ও নিচতলায় পানি জমে থাকায় রোগী, তাদের স্বজন ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

হাসপাতালের চিকিৎসক অরূপ রাউৎ জানান, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতালের ও সকল ছাত্রাবাসের নিচতলা অবধি পানি উঠে গেছে। হাসপাতালের সামনের সড়কও জলের নিচে। হাঁটু পানি ভেঙেই ডাক্তাররা ডিউটিতে এসেছেন।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো: সজিব হোসাইন জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৭.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১০২ মিলিমিটার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, দরগামহল্লা, কালীঘাট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, লামাপাড়া, লালা দিঘিরপার, মাছুদিঘিরপাড়, বাদামবাগিছা, শাহপরান, কুয়ারপার, সোবহানীঘাট, যতরপুর, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, কামালগড় ও দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুরসহ সিলেট নগরের অর্ধেকেরও বেশি এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। পাঠানটুলা এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে কোমর পর্যন্ত পানি জমেছে বলে জানা গেছে। ফলে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

নগরের বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিলেট মহানগরের জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনে সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগ নিচ্ছেন না। ফলে বার বার নগরবাসীকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে। তালতলা এলাকার বাসিন্দা সানাওর রহমান চৌধুরী বলেন, রাত ৩টার দিকে আমার ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ঘরের আসবাবপত্রসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। আর যেভাবে টানা বৃষ্টি চলছে পানি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বলা মুশকিল।

ভুক্তভোগী বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, প্রধানত তিনটি কারণে নগরে অল্প সময়ের বৃষ্টিতেই এখন জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। এগুলো হচ্ছে নগরের ছড়াগুলোয় (প্রাকৃতিক খাল) অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজ, অনেক ড্রেনের উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে চলায় পানি চলাচলের স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হয়ে পড়া এবং ছড়া-নর্দমার তলদেশে প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্যে ভরাট হয়ে থাকা। এর বাইরে শহরের বুক চিরে প্রবাহিত সুরমা নদীর নাব্যতা হারানোও জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ বলে তারা মনে করেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি কমলে পানি নেমে যাবে। তিনি বলেন, ড্রেন-নালা পরিষ্কার রাখতে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে। এছাড়া সুরমা নদী খনন করানো জরুরি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2