avertisements 2

নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে নারী সদস্য প্রার্থী লাঞ্ছিত 

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ অক্টোবর, বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১০:০০ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

ভোট পেতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যদের টাকা দিয়েছিলেন পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনের ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (বাউফল ও দশমিনা) সদস্য পদ প্রার্থী রুবিনা আক্তার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোটে হেরে ইউপি সদস্যদের কাছে সেই টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে তিনি লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
 
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। এরপর ফলাফলে দেখা যায়, রুবিনা হেরে গেছেন। পরে রাত ১০টার দিকে বাউফল উপজেলার বকুলতলা বাজারে গিয়ে এক ইউপি সদস্যের কাছে টাকা ফেরত চান তিনি। এ দৃশ্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

রুবিনা আক্তার দশমিনা উপজেলার জসিম‌ জোমাদ্দারের দ্বিতীয় স্ত্রী।

জানা যায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাউফল ও দশমিনা উপজেলার সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য পদে রুবিনাসহ চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে কামরুন নাহার বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতীক ছিল দোয়াত কলম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পশরী রানী হরিণ প্রতীক নিয়ে ১২০ ভোট পেয়েছেন। ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৩৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন রুবিনা আক্তার। এছাড়া আরেক প্রার্থী ফাতেমা আলম কোনো ভোট পাননি।  

ভিডিওতে রুবিনা আক্তারকে বলতে শোনা যায়, আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী দুই হাজার টাকা দিয়েছি। তারা টাকা নেওয়ার সময় আমাকে আশ্বাস দিয়েছে যে আপা আপনি মন খারাপ করিয়েন না, আমরা আপনাকেই ভোট টা দেবো। আপনি আমাদের নাস্তা খাওয়ার জন্য যে টাকা দিয়েছেন, এতেই আমরা‌ খুশি। টাকা দেওয়ার পরও তারা আমাকে একটা ভোটও দেয়নি। অন্যান্য মেম্বার আমার টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছে কিন্তু আনিসুর রহমান মেম্বার টাকা দিতে চায়নি। পরে টাকা দিয়েছে, কিন্তু আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।

এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, বিষয়টি আমিও দেখেছি, নির্বাচনে টাকা লেনদেন করা অবৈধ। তারা দুজনই অপরাধ করেছে। কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে আমরা অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।  

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2