ধর্ষকের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে কতটা নৈতিক?
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৮ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার এক নারীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ধর্ষকের। ঢাকার একটি আদালতের নির্দেশে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়।
কী ঘটেছিল?
ধর্ষণের শিকার তরুণীটি ঢাকার বাড্ডা থানায় যে মামলা করেন সেই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওই তরুণী ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আসামি তৌহিদুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেন। কাজ শুরুর কিছুদিন পর থেকেই আসামি তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। ওই বছরের ১০শে জানুয়ারি থেকে ২০শে এপ্রিল পর্যন্ত আসামি ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
মেয়েটি অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি দুই মাসের গর্ভবতী। এই অবস্থায় তিনি মামলা করলে পুলিশ তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। মামলা চলা অবস্থায় ভিকটিম সেন্টারে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন বাদী। সেই ছেলের বয়স এখন দুই বছর।
বাদী পক্ষের আইনজীবি এম. আবু বক্কর সিদ্দিক মোল্লা বলেন, "আদালত বলেছিল আপনারা বিয়ে করে আসছেন কিনা, সেই সময় তারা (আসামীপক্ষ) বলে তারা বিয়ে করেনি। তবে আদালত অনুমতি দিলে আজ মঙ্গলবার তারা বিয়ে করে আসতে পারেন। তখন বিচারক নির্দেশ দেস, তাহলে আজকে (মঙ্গলবার) বিয়ে করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বিয়ে না হচ্ছে ততক্ষণ আমি আদালতেই থাকবো।"
আবু বক্কর সিদ্দিক মোল্লা বলেন, আসামী পক্ষ দুই লক্ষ টাকা দেনমোহর দিতে চেয়েছিল কিন্তু বাদী পক্ষের হয়ে তিনি ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর দাবি করেন। পরে আদালত সিদ্ধান্ত দিলে পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয় সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে।
আদালত রায়ে তার পর্যবেক্ষণে বলেন, "এই মামলাটাকে খারিজ করা হচ্ছে না। মামলাটা আমার কাছেই থাকবে। আমি দীর্ঘ একটা সময় নিয়ে মামলাটাকে পর্যবেক্ষণে রাখবো - আসলেই ভিকটিম সুখে আছে কিনা, আসামী তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে কিনা, তাকে সুখে রাখছে কিনা," জানান আবু বক্কর সিদ্দিক মোল্লা এই বিষয় নিয়ে আসামী পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মন্তব্য করতে চাননি। আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ২৯শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন দেয়া হয়েছে।