avertisements 2

১৫ দিন সংসার করে ফিরে গেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী, হতাশ মনিরুল

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ জুলাই,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৭ এএম, ২৮ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

প্রেমের টানে টাঙ্গাইলের সখিপুরে এসেছিলেন মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিস। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ওই তরুণী বাংলাদেশে আসেন। পরে টাঙ্গাইলের মনিরুলকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারের সময় ছিল মাত্র ১৫ দিন। এরপর নিজ দেশে ফিরে যায় ওই তরুণী। ওই ১৫ দিন সময়ে মনিরুলের পরিবার তার পেছনে ৮০ হাজারের বেশি টাকা খরচ করে। সেই দেনা এখন টানছেন এবং এই বিয়ের মধ্য দিয়ে ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন মনিরুলের বাবা ঈমান আলী। 

মনিরুল ইসলামের (২৬) বাড়ি সখিপুরের কাদেরনগর মুজিব কলেজ মোড় এলাকায়।  

সম্প্রতি মনিরুলের গ্রামের বাড়িতে গেলে স্থানীয়রা জানান, মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মনিরুলের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। প্রায় ছয় মাস প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মালয়েশিয়ান ওই তরুণী মনিরুলের কাছে সখিপুরে চলে আসে। এরপর কোর্ট ম্যারেজ করে সামাজিকভাবে বিয়ে পড়ানো হয় তাদের। হঠাৎ করে মালয়েশিয়া থেকে খবর আসে ওই তরুণীর স্বামী ও চার সন্তান রয়েছে। এরপর ওই যুবক তরুণীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে ১৫ দিন ঘরসংসার করে মালয়েশিয়ান ওই তরুণী তার নিজ দেশে ফিরে যান।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে জুলিজার সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। প্রায় ছয় মাস প্রেমের সম্পর্কের পর জুলিজা আমার কাছে চলে আসে। পরে কোর্ট ম্যারেজসহ সামাকিজভাবে বিয়ে পড়ানো হয়। তার ভিসার মেয়াদ ১৭ দিন ছিল। আমরা ১৫ দিন একত্রে ছিলাম।’

জুলিজার ফিরে যাওয়ার পর হতাশ হয়ে পড়েছেন মনিরুল। তিনি বলেন, ‘এখন স্ত্রী হিসেবে নয়, ভালো বন্ধু হিসেবে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। শুনেছি তার স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু সে তার স্বামীকে ছেড়ে পৃথক রয়েছে বলে জেনেছি।’

এদিকে মালয়েশিয়ান তরুণীকে বিয়ে করে ছেলের জীবন নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মনিরুলের বাবা ঈমান আলী। তিনি বলেন, ‘মেয়েটি হয়তো কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল। আমার ছেলের জীবনটা নষ্ট করে দিয়ে ওই মেয়ে চলে গেছে। এখন ছেলেকে বিয়েও করাতে পারছি না। আমার ছেলে ওই সময় কলেজে পড়াশোনা করতো। কিন্তু এখন পড়াশোনা বাদ দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছে। ছেলের ভব্যিষৎ নষ্ট হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। ওই মেয়ের পেছনে ১৭ দিনে আমার প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনও সেই ঋণের বোঝা টানছি। নিজেদের থাকার জায়গাটুকুও নেই। অন্যের বাড়িতে ঘর ভাড়া করে থাকি। আমাদের কষ্টের জীবন। মেয়েটি আমাদের সম্মানহানি ও অনেক ক্ষতি করে চলে গেছে।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2