গোপালগঞ্জে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার স্ত্রীর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৭ এএম, ২৮ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ফরিদ শেখ-কে (৪০) হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫)। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এসআই আব্দুল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটিটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘পারিবারিক কলহের কারণে মুক্তা বেগম তার স্বামী ফরিদ শেখকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছে। এছাড়া এই হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
ফরিদ শেখ উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের ধোড়ার গ্রামের ইয়ার আলী শেখের ছেলে। গত ১৯ জুন দিবাগত রাতে ফরিদ শেখকে তার স্ত্রী বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ২০ জুন ফরিদ শেখের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে মুক্তা বেগম ও তার পিতা সিদ্দিক তালুকদার (৬০) কে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এসআই আব্দুল করিম বলেন, ‘মামলা দায়েরের দিনই আমরা মুক্তা বেগম ও তার পিতা সিদ্দিক তালুকদারকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এরপর আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৫ জুলাই ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিদেরকে কোটালীপাড়া থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে গত বুধবার (৬ জুন)। এসময় আসামি মুক্তা বেগম তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাড়ির পাশের পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটিটি উদ্ধার করা হয়।’
ফরিদ শেখের পিতা ইয়ার আলী শেখ বলেন, ‘আমার ছেলে ফরিদ ঢাকায় বাবুর্চির কাজ করতো। করোনার সময়ে সে স্থায়ী ভাবে বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করে। বাড়িতে আসার পর থেকেই আমার ছেলের সাথে পুত্রবধূ মুক্তা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া হতো। মুক্তা বেগম বিভিন্ন সময়ে আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিতো। এ ঘটনায় আমার ছেলে কোটালীপাড়া থানায় একটি জিডিও করেছিল। আমরা এর কঠিন শাস্তি চাই।’