avertisements 2

রোববার আছড়ে পড়তে পারে ‘অশনি’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ মে,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:২৮ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

২০০৯ সালের মে মাসে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ফণী আছড়ে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গে, ২০২০ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল। ২০২১ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পশ্চিমবঙ্গসহ অন্যান্য রাজ্যে বিপুল ক্ষতি করেছিল। এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। মধ্য আন্দামান সাগরের ওপরের ঘূর্ণাবর্ত আজ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এটি উত্তর ও পশ্চিমে যাবে এবং পরবর্তী সময়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। রোববার এটি ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘অশনি’। পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া দপ্তর আগেই পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসবে ভারতের উত্তর-পশ্চিম অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের দিকে। তবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে পশ্চিমবঙ্গও।


নিম্নচাপ আবহে ১০ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। ১০ মে থেকে মৎস্যজীবীদের মাঝসমুদ্রে যেতে বারণও করা হয়েছে। যে কোনো সময় দিক পরিবর্তন করে নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গের দিকে ঘুরতে পারে ভেবে ইতোমধ্যেই বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকছে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলো। এরই মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দক্ষিণ২৪ পরগনায়। জেলার প্রতিটি সাব-ডিভিশন এবং ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচটি আপৎকালীন ‘কুইক রেসপন্স টিম’ তৈরি করা হয়েছে। এক একটি দলে ২০ জন করে কর্মী থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা মোতায়েন থাকবেন। প্রয়োজনে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং কোস্ট গার্ডের সাহায্য নেওয়া হবে বলেও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। মৎস্যজীবীরা যেন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান,

তার জন্য ইতোমধ্যেই ‘মাইকিং’ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ, উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় মাইকে আপৎকালীন প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। রোববার থেকেই আবহাওয়ার অবনতি হতে পারে বলে প্রশাসনের একাংশের অনুমান। যে কোনো রকমের বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ভেবে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপল, চাল, ওষুধ, শুকনো খাবার এবং জলের বোতল মজুত করতে শুরু করেছে প্রশাসন। জরুরি অবস্থার জন্য হাসপাতালগুলোকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নৌকা রাখা হয়েছে, যাতে বিপদগ্রস্তদের অতি সত্ত্বর অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যায়। দুর্গতদের থাকার জন্য একাধিক অস্থায়ী আশ্রয়স্থল তৈরির কাজও শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি, গাছ ভেঙে পড়লে বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেও প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2