‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ দুই ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ: তদন্ত কমিটি গঠন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪৬ পিএম, ৭ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৫
জেলার আশুগঞ্জে ‘নাপা সিরাপ’ খেয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় থেকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন ও ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস-ছালেহীন। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুপুর সাহাকে প্রধান করে তিন সদস্যের পৃথক আরেকটি পরিদর্শন কমিটি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। শনিবার (১২ মার্চ) থেকে কমিটির তদন্ত কাজ শুরু। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ ইয়াছিন খান (০৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন স্বজনরা। মৃতরা দুর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক সুজন খানের ছেলে।
ওই দুই শিশুর মা লিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ইয়াছিন ও মোরসালিনের জ্বর ছিল। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিকেলে বাড়ির পাশে মা ফার্মেসি থেকে নাপা সিরাপ এনে তাদের খাওয়ানো হয়। সিরাপ খাওয়ার পরই দুইজন বমি করতে থাকে। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাদের আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং এরপর জেলা সদর হাসাপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নেয়ার পথে রাত ৯টার দিকে ইয়াছিন এবং বাড়িতে আনার পর রাত সাড়ে ১০টায় মোরসালিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর গতকাল রাত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল ফার্মেসিতে সাময়িক সময়ের জন্য নাপা সিরাপ বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করে জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।