avertisements 2

মন্ত্রীর ভাই যখন মি. ফিফটিন পার্সেন্ট

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ মার্চ,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪১ এএম, ৩০ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪

Text

আওয়ামী লীগের কোনো নেতার দুর্নীতি নিয়ে বাইরের কেউ সমালোচনা করলে দলের নেতারা রইরই করে ওঠেন। সরকারের বদনাম করতে ও উন্নয়নের গতি থামিয়ে দিতে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে তাঁরা মাঠ গরম করেন। কিন্তু এবার সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বললেন, ফরিদপুর আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম সব কাজে ১৫ শতাংশ কমিশন নিতেন। তিনি পরিচিত ছিলেন ‘মি. ১৫ শতাংশ’ হিসেবে। এরশাদ সাহেবের আমলে শীর্ষস্থানীয় এক ব্যক্তি ১০ শতাংশ কমিশন নিতেন বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ছিল। বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে। কমিশনের ক্ষেত্রেও সেটি ঘটেছে।

গত সোমবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুই হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচার মামলার পলাতক আসামি খন্দকার মোহতেশামকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মোহতেশাম ফরিদপুরে যত দরপত্র হতো, সবটা থেকে কমিশন নিতেন। তিনি অবৈধ উপায়ে দেশে-বিদেশে প্রচুর সম্পদ করেছেন।

একই মামলার অভিযুক্ত অন্যান্য আসামি হলেন সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপি এস এইচ এম ফুয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকত, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান ওরফে রুবেল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলামসহ ১০ জন। এর মধ্যে ৫ জন আটক, ২ জন জামিনে ও ৩ জন পলাতক। ২০২০ সালের ৭ জুন গ্রেপ্তার হন সাবেক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত রুবেল ও বরকত। এর আগে ১৬ মে ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2