মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এসেই আত্মহত্যা করেন সাদিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৮ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:১১ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ফাইল ছবি
ইচ্ছে ছিল বিসিএস ক্যাডার হবেন তাই কঠোর অধ্যবসায়ের মধ্যে নিজেকে মনোনিবেশ করেছিলেন গৃহবধূ সাদিয়া সাথী (২৪)। কিন্তু অজানা কারণে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন তিনি।
সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বৈদ্যপাড়া এলাকার ডা. শাহজাহান হোসেন ভবনের পঞ্চম তলার ভাড়া বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম রেজা।
তিনি জানান, সাদিয়া সাথীর ৮ বছরের একটি কন্যা শিশু রয়েছে। পাশের ফ্লাটের বাসিন্দারা জানিয়েছেন মেয়েকে শের-ই-বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিয়ে এসে বাসার দরজা আটকে দেন। অনেকক্ষণ সাড়া-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা খুঁজতে গিয়ে বুঝতে পারেন সাদিয়া আত্মহত্যা করেছেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, সাদিয়ার পড়ার টেবিলের সামনের দেয়ালে কাগজে লেখা ছিল ‘আই হ্যাব টু বি এ বিসিএস ক্যাডার’। অর্থাৎ তার অদম্য ইচ্ছা ছিল বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। ঘরে প্রচুর বই ছিল, বিসিএস কোচিং করত। দেখেই বোঝা যায় মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তবে পরিবারের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এমনকি তারাও জানাতে পারেনি কী কারণে সাদিয়া আত্মহত্যা করেছেন। তবে আমরা কারণ অনুসন্ধান করছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার ২ নং কেদারপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভূতেরদিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও ফাতেমা বেগম দম্পতির মেয়ে সাদিয়া। স্বামী মাইনুল ইসলাম একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন।