সিনহাকে খুন করেছে লিয়াকত, আমার প্রতি সদয় হোন স্যার : প্রদীপ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১৮ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ দিন ছিল আজ (১২ জানুয়ারি) বুধবার। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামি ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ জনকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় প্রদীপ মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে দায়ী করে বিচারকের কাছে নিজের প্রতি সদয় হওয়ার অনুরোধ জানান।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) আদালতে যুক্তিতর্ক চলাকালে ১০ মিনিট সময় প্রার্থনা করে ওসি প্রদীপ এ অনুরোধ জানান। এজলাসে উপস্থিত এক আইনজীবী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় আদালতে ১০ মিনিট সময় প্রার্থনা করেন প্রদীপ কুমার দাশ। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘স্যার (বিচারক) মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহাকে খুন করেছে পরিদর্শক লিয়াকত। এটা আমি স্পষ্ট জানি। আমার প্রতি আপনি সদয় বিবেচনা করবেন।’
প্রতি উত্তরে বিচারক জানতে চান, ‘আপনি (প্রদীপ) জেনে থাকলে সেটা জবানবন্দিতে বলেননি কেন? এখন মামলা রায়ের পর্যায়ে। এখন এসব কেন বলছেন?’
এদিকে যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক মোহাম্মদ ঈসমাইল হোসেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়ের তারিখ ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম জানান, ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত রোববার বিচারক মোহাম্মদ ঈসমাঈলের আদালতে যুক্তিতর্ক শুরু হয়ে চলে বুধবার (১২ জানুয়ারি) পর্যন্ত।
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের এই তারিখ ঠিক করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। পরে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।