avertisements 2

সেই রাতে বিনা ভাড়ায় শ তিনেক যাত্রী উদ্বার করেন মিলন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:০০ এএম, ১২ মে,রবিবার,২০২৪

Text

ট্রলারচালক মিলন খান ছবি সংগৃহীত

ঝালকাঠিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে লঞ্চে আগুন দেখে প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া শ তিনেক যাত্রীকে উদ্ধারের কাজ করে অন্যান্য মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মিলন খান (৩৫) নামের এক ট্রলারচালক। তিনি বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের তীরে পৌঁছে দিয়েছেন। কাউকে কাউকে তিনি হাসপাতালের পথ পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছেন। যাত্রী বহনের পুরো কাজটি তিনি করেছেন বিনা ভাড়ায়।

মিলন লঞ্চঘাট বেড়িবাঁধ এলাকার মৃত সরুব আলীর ছেলে। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে পাঁচজনের সংসার তাঁর। ট্রলার চালিয়েই সংসার চালান তিনি। প্রতিদিন তিনি ১০ টাকার বিনিময়ে সদরের দিয়াকুল থেকে শহরের লঞ্চঘাটে যাত্রী পারাপার করেন। তবে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দিন তিনি কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নেননি। ঘটনার দিন রাত তিনটা থেকে পরদিন শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত আহত যাত্রীদের পারাপারের কাজ করেছেন তিনি।

ট্রলারচালক মিলন খান বলেন, ‘রাত তিনটার দিকে দিয়াকুল গ্রামের সুগন্ধা নদীতে যাত্রীদের চিৎকার ও আগুন দেখে ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আগুন থেকে বাঁচতে যাত্রীরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভেসে আছেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে যাই। এলাকার লোকজন তাঁদের আশ্রয় দেন। গরম পোশাকের ব্যবস্থা করেন। তাঁদের অনেকেই দগ্ধ ছিলেন। হাত-পা ভাঙা ছিল। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন ছিল। দিয়াকুল গ্রামের মানুষের সহায়তায় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অন্তত ৩০০ যাত্রী পারাপার করে তীরে ও হাসপাতালে পাঠাতে সহায়তা করেছি। আমি কারও কাছ থেকে কোনো ভাড়া নিইনি। টাকাই সব নয়। বিপদে মানুষকে সহায়তা করেছি, এটাও কম নয়।’

ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চটি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকার সময় আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ আছেন ৫১ জন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2