ফেসবুকে ‘আব্বু আম্মু ক্ষমা করে দিও’ স্ট্যাটাস দিয়ে শিক্ষার্থী নিখোঁজ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৪২ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ছবি:সংগৃহীত
ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিব্বির আহমেদ,‘আব্বু আম্মু ক্ষমা করে দিও আজ বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল, আপু মুসাব্বিরের প্রতি খেয়াল রাখবেন’ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দিয়ে নিখোঁজ হয়। গতকাল শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ থেকে জামালপুরের মেলান্দহে নিজ বাড়িতে ফেরার কথা ছিলো। নিখোঁজ শিব্বির আহমেদ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন বানিয়াবাড়ী এলাকা আব্দুল্লাহ আল-ফারুকের ছেলে।
নিখোঁজের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে , শিব্বির আহমেদ ময়মনসিংহ শহরের মীরবাড়ী, কলেজ রোড় এলাকায় একটি মেস থাকতেন। সে আনন্দ মোহন কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার সকালে ফোন দিয়ে বাড়িতে আসার কথা জানানো হয়। এর আগে শিব্বির আহমেদ ভোর সকালে তার ফেসবুক থেকে কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন, স্ট্যাটাসে বলা হয়,’ভালো থাকবে জায়গা, সুখে থাকবে শহর’, ‘ঘর ,পরিবার, জায়গা ক্ষমা করে দিও’।
এর পরে সকালে ৭ দিকে আবার ফোন দিয়ে তার পরিবারকে জানানো হয়, ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে বাড়ি আসতেছেন। ফোন দেবার কিছু আগে সর্বশেষ ফেসবুকে আরও একটি স্ট্যাটাস দেন, ‘আব্বু আম্মু ক্ষমা করে দিও আজ বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল, আপু মুসাব্বিরের প্রতি খেয়াল রাখবেন’। এ স্ট্যাটাস দেখে আবার ফোন দিলে, তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার মেস ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ সাব্বিরের খালাতো ভাই মোত্তাছিম বিল্লাহ বলেন, আমাদের ধারণা মেস থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই বের হয়েছেন। শুক্রবার সকালে তার ফেসবুক কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন, তারপর থেকে আমরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করি, সর্বশেষ ফোনে জানানো হয়ে বাড়িতে আসতেছেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে আমরা তাকে কোথাও খুঁজে পাইনি। তিনি আত্মহত্যা করার মতো ছেলে না, হঠাৎ এ ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে কি জন্য নিখোঁজ হলো আমারা ধারণা করতে পারছিনা।
শিব্বির আহমেদ বাবা আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘আমার ছেলে খুব সহজ সরল, তিনি কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। তার কোন টাকা পয়সার সমস্যা ও ছিল না। হঠাৎ কী জন্য এ ধরনের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিখোঁজ হলো কিছুই বুঝতে পারছিনা।গতকাল শুক্রবার রাতে কোতোয়ালী থানায় জিড়ি করছি। এখনো কোন খোঁজ খবর পাইনি, কোথায় আছে বা কেমন আছে।’