avertisements 2

 তিন লাশের পাশে লেখা, সুমি আমার কাছে থাকলে এমন হতো না

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ অক্টোবর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৩৬ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

বসতঘরে পড়ে আছে শাশুড়ি ও পুত্রবধূসহ এক যুবকের নিথর দেহ। লাশের পাশে ঘরের দেয়ালে লেখা, ‘এমনটা হতো না, যদি সুমি আমার কাছে থাকতো। এই সবকিছুর জন্য সুমির বাবা দায়ী।’ 

একই ঘরে যুবক, শাশুড়ি ও পুত্রবধূর লাশ এবং দেয়ালের লেখার কারণে এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডটি মোড় নিয়েছে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের দিকে।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।

নিহতরা হলেন ওই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী জয়নুদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫), জয়নুদ্দিনের মা জমেলা বেগম ও শাহজালাল ইসলাম সোহাগ (৩০)। শাহজালাল কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় জয়নুদ্দিনের ছেলে শাফিকে (৩) উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে শাহজালাল দুই নারীকে হত্যা করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

দিগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন বলেন, ‘শাহজালালের সঙ্গে সুমির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রায় ছয় মাস আগে শাহজালালের সঙ্গে সুমি পালিয়ে গিয়েছিল। শুনেছি তারা বিয়েও করেছিল। পরে সুমির স্বামী বিদেশ থেকে ফিরে তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। এরপর সুমির স্বামী বিদেশে চলে যান। হত্যাকাণ্ড নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।’

টাঙ্গাইলের র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘লাশের পাশে ছুরি ও হাতুড়ি পাওয়া গেছে। সিআইডির ক্রাইম সিনের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।’

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়ছার বলেন, ‘ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটনের জন্য সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ প্রক্রিয়াধীন। সাক্ষ্যপ্রমাণ হাতে পেলে মতামতের জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠাবো। মতামত আসার পরই আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো। তখন নিশ্চিত করে বলতে পারবো হত্যাকাণ্ডের রহস্য। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ঘটনাটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ঘটেছে।’

দেয়ালের লেখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেয়ালে লেখাটি কে লিখেছে এটি আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা যাদের সন্দেহ করছি, তাদের লেখা বাড়ি থেকে সংগ্রহ করেছি। এই লেখার সঙ্গে মিলিয়ে আমরা বলতে পারবো, কে লিখেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2