avertisements 2

প্রবাসীর স্ত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল আটক

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ অক্টোবর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১৫ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মাজেদুল ইসলাম বাবু (২৬) নামে এক পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আটক করেছে উল্লাপাড়া থানার পুলিশ। পরদিন শুক্রবার ভুক্তভোগী নারী উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন। 

অভিযুক্ত মাজেদুল ইসলাম উল্লাপাড়া উপজেলার ভদ্রকোল গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি গুলশান-২ থানায় কর্মরত। 

অভিযোগপত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে ভদ্রকোল গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে প্রতিবেশী পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুল ইসলাম খালেদাকে বিয়ে করার জন্য নানাভাবে প্রস্তাব ও প্রলোভন দেন। গড়ে ওঠে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে স্বামী আমিনুল ইসলামকে তালাক দেন খালেদা। এরপর খালেদা তাঁর বাবার বাড়ি চলে যান। মাজেদুল তালাকের পর থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসে নিয়মিত খালেদার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেকবার ধর্ষণ করেন। এর মধ্যে কিছুদিন গাজীপুরে একটি বাসা ভাড়া করে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে নানা কৌশলে খালেদাকে বাসায় নিয়ে রাখেন। এর পরেও তিনি তাঁকে বিয়ে না করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। অবশেষে গত ২১ অক্টোবর রাতে মাজেদুল ভুক্তভোগীর বাবার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করেন। মাজেদুল ঘর থেকে বের হওয়ার সময় তিনি মাজেদুলের মনোভাব বুঝে চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন তাঁকে আটক করে। পরে উল্লাপাড়া থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় দেওয়া অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।  

এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হ‌ুমায়ূন কবির আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুলকে থানায় আটক করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে মাজেদুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর তালাকপ্রাপ্ত প্রবাসী স্বামী জানান, তাঁদের ১২ বছরের সংসার ছিল। তিনি বিদেশে চাকরি করতেন। এই সময়ে অনেক অর্থ ও স্বর্ণ খালেদা হাতিয়ে নিয়ে তাঁকে তালাক দিয়ে চলে গেছেন। তিনি সাবেক স্ত্রী এই নারীর বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে আদালতে প্রতারণার মামলা করবেন। 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2