মোবাইলের 'ভুল' মেসেজে একটি হত্যা ও একটি আত্নহত্যার কারণ
মোবাইলের 'ভুল' মেসেজে একটি হত্যা ও একটি আত্নহত্যার কারণ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৮ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন মো. ডায়মন্ড (২৮), আল আমিন ও তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন। ফেনী পৌরসভার পশ্চিম বিজয়সিংহ লুদ্দারপাড় গ্রামে একটি টিনশেড কলোনিতে তাদের বাস। তিনজনই ফেরি করে প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করেন গ্রামে গ্রামে। এর মধ্যে ডায়মন্ডের প্রেম ছিল নিজ গ্রামের পপি মণ্ডল নামের এক তরুণীর সঙ্গে। হঠাৎ সেই প্রেমিকা বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।
পপির মৃত্যুর বিষয়টি ভুলতে বসেছিল সবাই। কিন্তু কিছুদিন পর প্রেমিক ডায়মন্ড জানতে পারেন পপির আত্মহত্যার রহস্য। রুমমেট আল আমিন ইচ্ছা করে কৌশলে ডায়মন্ডের ফোন ব্যবহার করে পপি মণ্ডলকে একটি মেসেজ করেন। যাতে লেখা ছিল 'আমি তোমাকে ভালোবাসি না।' যার পরিপ্রেক্ষিতেই পপি আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়া আল আমিন ও তার তিন সহযোগী রুবেল মণ্ডল, হাসিবুর রহমান, আবু বক্করকে নিয়ে পপির ঘরে ঢুকে তাকে যৌন নিপীড়ন করেন বলেও জানেন ডায়মন্ড।
প্রেমিকার মৃত্যুর কারণ জানতে পেরে আল আমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ডায়মন্ড। ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে তিনি ছুরি নিয়ে আল আমিনের ওপর হামলা করেন এবং তার বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় আল আমিনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আল-আমিনের বড় ভাই তোফাজ্জলকেও আসামি ডায়মন্ড ছুরিকাঘাত করেন। তাদের চিৎকারে কলোনির অন্য বাসিন্দারা এগিয়ে এলে ডায়মন্ড দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ফেনীর আলোচিত আল-আমিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূলহোতা ডায়মন্ডকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের এমন বর্ণনা দেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সিআইডি কার্যালয়ে ঘটনার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ফেনী পৌরসভার পশ্চিম বিজয়সিংহ লুদ্দারপাড় গ্রামে একটি টিনশেড কলোনিতে আল আমিন নামে একজন ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। সেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় সিআইডি।