avertisements 2

'তোর বেইমানির জন্য আত্মহত্যা করলাম'

'তোর বেইমানির জন্য আত্মহত্যা করলাম'

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৬ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

'আর পাঁচটা মানুষের মতো আমার জীবন না। মনে রাখিস, তোর বেইমানি ও পরকীয়ার জন্য আত্মহত্যা করলাম আমি'। কুমিল্লায় এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবলীগ নেতা। তার নাম এমরান হোসেন মুন্না (২৯)। তিনি সদরের বারপাড়ার মতিউর রহমানের ছেলে।

জানা গেছে, গত ৮ বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর পরিবারের অমতেই বিয়ে করেন এমরান ও ঊষা । কিন্তু এক বছর না পার হতেই তাদের দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে অশান্তি। স্ত্রী ঊষা ঢাকায় পড়াশোনা করেন। সেখানে আরেকটি সম্পর্কে জড়ান তিনি।

নানাভাবে চেষ্টা করেও স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক থেকে ফিরাতে না পেরে অভিমানে আত্মহত্যা করে এমরান হোসেন মুন্না। তিনি কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের সদস্য। গত বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী সৈয়দা সাজিয়া শারমিন উষার (২৮) বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পিতা মো.মতিউর রহমান।

এদিকে বিষয়টি এখন টক অব দ্যা ডিস্ট্রিক্ট এ পরিনত হয়েছে। সামাজিকমাধ্যম জুড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তাদের দাবি নিহতের স্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হউক।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শহরতলীর বারপাড়া এলাকার মো.মতিউর রহমানের পুত্র এমরান হোসেন মুন্না। লাকসামের রাজাপুর এলাকার খিলা বাজার গ্রামের সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে সৈয়দা সাজিয়া শারমিন ঊষা। একসময় কুমিল্লা কর্মাশিয়াল ইন্সটিটিউট (বর্তমানে সরকারি সিটি কলেজ ) এ শিক্ষার্থী ছিল মুন্না ও ঊষা। দুইজন এক বছরের সিনিয়র-জুনিয়র। কলেজ জীবনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুইজন।

দীর্ঘ ৮ বছর তারা প্রেম করেন। সেই প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের বছর খানেক পর থেকেই তাদের পারিবারিক জীবনে টানাপোড়ন শুরু হয়।

ঊষা ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুবাদে বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকতো। আর মুন্না প্রথমে কুমিল্লায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করলেও পরে চাকুরি ছেড়ে কুমিল্লায়ই ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করে। দিনদিন তাদের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরে।'তোর বেইমানির জন্য আত্মহত্যা করলাম'

নিহত মুন্নার পরিবার আরটিভি নিউজের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ঊষা ঢাকায় সোহেল নামের এক ছেলের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মুন্নাকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতো। চাহিদামতো টাকা দিতে না পারার অজুহাতে মরে যাওয়া কথা বলে কটাক্ষ করতো। এতে মানসিকভাবে মুন্না ভেঙে পড়েন।

গত বুধবার সে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিয়ে স্ত্রীকে ছবি পাঠায় এবং মেসেজ করে। কিন্তু স্ত্রী কর্ণপাত করেনি। কাউকে জানায়নি। বরং উল্টো উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে। এতে মুন্না ক্ষোভে নিজ শোয়ার ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের লোকজন আওয়াজ পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু ঘটে।

ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ যোহর গুধির পুকুরপাড় ঈদগাহে এমরান হোসাইন মুন্নার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2