avertisements 2

অস্ট্রেলিয়ায় বসে রোজীর প্রতারনার কলকাঠি 

অস্ট্রেলিয়ায় বসে রোজীর প্রতারনার কলকাঠি 

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪৮ এএম, ১৬ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৫

Text

ঝালকাঠির মেয়ে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজী (৩৫)। মাঝেমধ্যে দেশে এসে টার্গেট করে কিছু পরিবারকে কম খরচে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখাতেন তিনি। ভুয়া ভিসা ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন রোজী। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসে সব কিছুর কলকাঠি নাড়লেও দেশে রয়েছে তাঁর একটি প্রতারকচক্র, যারা টাকা-পয়সাসহ রোজীর কথামতো সব কাজ করত।

এ পর্যন্ত রোজীকে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন, এমন সাত ভুক্তভোগীর খোঁজ মিলেছে। এর একজন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম (৪৭)। তিনি সপরিবারে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য রোজীর কাছে ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। এরপর তিনি রোজীর বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকেছেন। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে রোজীর সহযোগীচক্রের দুজনকে গেল শনিবার বনশ্রী ও শাহজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাঁরা হলেন মো. সাইমুন ইসলাম (২৬) ও আশফাকুজ্জামান খন্দকার (২৬)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে জাল ভিসা প্রস্তুতের কাজে ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার, সাতটি অস্ট্রেলিয়ার জাল ভিসা গ্র্যান্ট নোটিশ, পাঁচটি ফ্রি চিকিৎসার হেলথ মেডিকেয়ার কার্ড ও ছয়টি অস্ট্রেলিয়ার বিমান টিকিট জব্দ করা হয়। তবে চক্রের মূল হোতা রোজী এখনো অস্ট্রেলিয়ায়। দেশে ফিরিয়ে এনে রোজীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি। গতকাল রবিবার দুপুরে মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।

এ সময় সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ান জাল ভিসা প্রস্তুত করে বাংলাদেশিদের অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজী। রোজী মাঝেমধ্যে দেশে এসে উচ্চবিত্তদের টার্গেট করে আত্মীয়ের ভিসায় অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাবেন বলে প্রলোভন দেখাতেন। সপরিবারে গেলে (স্বামী-স্ত্রী) ২৩ লাখ আর একা গেলে ১৮ লাখ টাকা লাগবে বলে জানান দিতেন। রোজী নিজেকে অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশনের কনস্যুলার জেনারেল হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিতেন। এ ছাড়া তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের কাছ থেকে পুরস্কৃত হন এবং পুরস্কারের ছবি ভুক্তভোগীদের দেখাতেন। এতে ভুক্তভোগীরা তাঁকে সহজেই বিশ্বাস করতেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশনমন্ত্রী অ্যালেক্স হাউকির সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে বলেও জানাতেন। পরে ধাপে ধাপে কাগজপত্র ও ভিসার কথা বলে টাকা নিয়ে নিতেন।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, এমন ফাঁদে পড়ে পরিবারের আট সদস্যসহ অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম। এ জন্য দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা রোজীর অ্যাকাউন্টে দেন। এরপর কাগজপত্র ও ভিসা হাতে পেয়ে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখতে পান সবগুলোই ভুয়া ও জাল। এভাবে প্রতারণা করে রোজী একাধিক মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2