আইসিইউতে মা, দুধের জন্য কাঁদছে যমজ দুই শিশু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ আগস্ট,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩১ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্মাণ শ্রমিক সুফি মিয়ার স্ত্রী সৈয়দা রিনা বেগম। বাড়িতে দুধের জন্য কাঁদছে ১২ দিন বয়সী তার যমজ শিশু। এক দিকে স্ত্রীর অসুস্থতা অন্যদিকে দুই ছেলের জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন সুফি মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ২ আগস্ট উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক সুফি মিয়া ও সৈয়দা রিনা বেগমের বিয়ে হয়। গত ১৫ আগস্ট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রিনা বেগম যমজ শিশুর জন্ম দেন। অভাবের সংসারে ঘর উজ্জ্বল করে জন্ম নেয়া ছেলেদের পেয়ে খুশি তারা।
কিন্তু সে খুশিতে বাঁধ সাধে মহামারী করোনা। গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রিনা বেগমের উপসর্গ দেখা দিলে জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত করা হয়। পরে রিনা বেগম নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার রাতে তাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
রিনার স্বামী সুফি মিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই, অনেক কষ্ট করে সংসার চালাই, আমার যখন যমজ সন্তান হয় তখন আনন্দের শেষ ছিল না। কিন্তু এখন আমার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কীভাবে বাঁচাব বুঝে উঠতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরা বলেছেন আমার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হতে পারে। এ জন্য অনেক টাকার দরকার। এদিকে মায়ের দুধের জন্য আমার দুই ছেলে কেঁদেই চলেছে।
রিনা বেগমের বোন সৈয়দা শাবানা বেগম বলেন, আমার বোন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। তার জন্ম দেওয়া দুই সন্তান নিয়ে বিপাকে আছি। মায়ের দুধের জন্য শিশুরা কাঁদছে। কীভাবে তাদের সামলাব বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সায়েকুল ইসলাম বলেন, করোনায় আক্রান্ত মা সৈয়দা রিনা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছিল। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাঁকে সিলেটে পাঠানো হয়েছে।