কুমারখালীতে বিয়ের মেহেদীতে হাত রাঙিয়ে হাসপাতালের বেডে প্রেমিকা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সামাজিক যোগাযোগের দ্রুততম মাধ্যম ফেসবুকে তাদের পরিচয়। একপর্যায়ে তাদের মাঝে প্রমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাত্র দেড় মাসের প্রেমের সম্পর্কের জেরে হাতে মেহেদী লাগিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের জন্য অনুশনে বসে তরুনী প্রেমিকা। পরে বিয়ের বনিবনা না হওয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে বিষপান করেন প্রেমিকা।
এমন ঘটনা রোববার (২২ আগষ্ট) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া এলাকায় ঘটেছে। প্রেমিক শামীম আহমেদ নাভিন (২২) ওই এলাকার ব্যবসায়ী নাজমুলের ছেলে ও কুমারখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। প্রেমিকা (১৮) রাজশাহী জেলার একটি কলেজ ছাত্রী। বর্তমানে সে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রেমিকা ও প্রেমিকের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, গত ২০ আগষ্ট শুক্রবার দুপুরে ছাত্রদল নেতা শামীম আহমেদ নাভিনের বাড়িতে হাতে মেহেদী লাগিয়ে অনশনে বসে কলেজ ছাত্রী প্রেমিকা। খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে প্রেমিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং পরিবারকে খবর দেয়।
এরপর ২১ আগষ্ট শনিবার সকালে কুমারখালী থানায় দুই পরিবারের বসাবসিতে সমাঝতা হয় এবং প্রেমিকাকে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার। পরদিন রোববার (২২ আগষ্ট) দুপুরে প্রেমিকা পুনরায় নাভিনের বাড়িতে চলে আসে এবং আবারো বিয়ের দাবিতে অনশন করেন। এবারো প্রেমিক নাভিনের পরিবার তাঁকে মেনে না নেওয়ায় বিকেলে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এরপর প্রেমিকের বাবা নাজমুল কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এবিষয়ে কলেজ ছাত্রী ওই প্রেমিকা হাসাপাতালের বেডে শয়ন অবস্থায় বলেন, দেড়মাস আগে ফেসবুকে তাঁদের পরিচয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নাভিন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে চলে আসতে বলে। আমি নাভিনের বাসায় অবস্থান করলে তাঁরা আমাকে স্বীকৃতি না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ জোড় করে আমার পরিবারের কাছে তুলে দেয়।
তিনি আরো বলেন, আমি রোববার আবার নাভিনের বাড়িতে বিয়ের জন্য অবস্থান করি। কিন্তু ওরা খারাপ আচরণ করায় বিষপান করেছি। পরে নাভিনের বাবা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
এবিষয়ে নাভিনের বাবা নাজমুল বলেন, শুনেছি ফেসবুকে ছেলের সাথে পরিচয়। তবে ছেলে প্রেমের কথা স্বীকার করেনি। এনিয়ে থানায় বসাবসি হয়েছিল। প্রেমিক নাভিন মুঠোফোনে বলেন, এবিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিনা। যা মন তাই করেন।
কুমারখালী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় বসাবসি করে মেয়েকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে কি হয়েছে জানিনা।