সুদের টাকা আদায়ের জন্য লাশের দাফন আটকে দিলেন, এলাকাবাসীর ক্ষোভ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৫ | আপডেট: ০৭:০৬ এএম, ৩ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২৫

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সুদের টাকার দাবিতে মরদেহ দাফনে বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। অবশেষে সুদের টাকা বুঝে পেলে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়। দামুড়হুদার চিৎলা গ্রামে এমন অমানবিক ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গ্রামজুড়ে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চিৎলার নতুনপাড়ার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি হারুন (৪৫) মেয়ের বাড়িতে হঠাৎ স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান। পরদিন সকালে মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে শোকে ভেঙে পড়েন স্বজনরা। আসরের নামাজের পর তার জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। ঠিক সেসময় এমন এক অপ্রত্যাশিত কাণ্ড ঘটে, যা উপস্থিত সবাইকে হতবাক করে তোলে।
প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন দাবি করেন, মৃত হারুনের কাছে তার সুদের ১৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। তিনি সরাসরি শর্ত জুড়ে দেন টাকা শোধ না করলে মরদেহ দাফন করতে দেয়া হবে না। হঠাৎ এমন দাবিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে হারুনের পরিবার। শোকার্ত পরিবেশ মুহূর্তেই পরিণত হয় তর্ক-বিতর্কে। প্রায় ২ ঘণ্টা মরদহে দাফন না করে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সন্ধ্যায় পরিবার বাধ্য হয়ে টাকা পরিশোধ করে। টাকা হাতে পেয়ে মর্জিনা ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়লেও গ্রামবাসীর ক্ষোভ থামেনি।
ইতোমধ্যে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকসহ অনলাইনে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান বলেন, হারুন জীবিত থাকতেই আসল টাকা শোধ করেছিলেন বলে জেনেছি। মৃত্যুর পর মরদেহ আটকে রেখে সুদের টাকা আদায় ঘৃণ্য ও লজ্জাজনক কাজ। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানান, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত মর্জিনা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

অজ্ঞাত স্থান থেকে নিখোঁজ ২ বোনের ভিডিওবার্তা, দিলেন ‘ধর্মান্তরিতের’ খবর

ফ্যাসিবাদের সুপরিকল্পিত ইন্ধনে সন্ত্রাসীদের দ্বারা পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা

যশোরের থানা চত্বরে এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর কাড়াকাড়ি!

কুমিল্লায় চুরির অভিযোগে যুবককে কুকুর লেলিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
