avertisements 2

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন

‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই’ বলা সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:৪৬ এএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

বক্তব্য দিচ্ছেন নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মতবিনিময় সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পেটানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নরসিংদী যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নরসিংদী-১ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্য নাহিদুর রহমান নাহিদ তাকে শোকজ করেন।  একই সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে রাতেই জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ওমর ফারুক বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

জানা গেছে, বুধবার নরসিংদী ক্লাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলামের (বীর প্রতীক) একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন। তার বক্তব্যে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ‘পেটানোর’ হুমকি দেন। সেই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা সমালোচনার সৃষ্টি করে।

ভিডিওতে ছাত্রলীগ নেতা রিমনকে বলতে শোনা যায়, কোনো স্বতন্ত্র-মতন্ত্র আমরা চিনি না, মাইরের ওপর কোনো ওষুধ নাই। ছাত্রলীগের কোনো পোলাপান স্বতন্ত্ররে মানতো না। স্বতন্ত্ররে কেমনে পিডাইতে হয়, হেই দেখাইছে। হেরে আমরা হেমনেই পিডামো। এই শহরে, এই সদরের কোনো এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোনো জায়গা দেয়া যাবে না। তারা নৌকার বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, তারা দেশ বিরোধী।

নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নরসিংদী সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ওমর ফারুক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। একই সঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। এমন বক্তব্য হুমকি-ধমকি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে। নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের এমন ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2