ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা
‘আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন’ বললেন শিক্ষার্থী স্বর্ণা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ অক্টোবর,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:৫৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী ট্রেন এগারসিন্ধু একটি মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বর্ণা বেগম।
তিনি সোমবার গ্রামের বাড়ি থেকে ট্রেনযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওয়া দিয়েছিলেন। জীবন বাজি রেখে জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পান স্বর্ণা। তার বাড়ী কিশোরগঞ্জ সদরে। সেই ভয়াল দৃশ্য গণমাধ্যমকে শুনিয়েছেন স্বর্ণা।
স্বর্ণা জানায় , সোমবার দুপুরে আমি এগারসিন্ধু ট্রেনের যাত্রী ছিলাম। বাসা থেকে বের হয়ে ট্রেনে যাচ্ছিলাম ঢাকায়। ট্রেনটি বিকেল ২টা ৪০ মিনিটে ভৈরব রেলস্টেশনে পৌঁছে। পরে ট্রেনের ইঞ্জিন ঘুরিয়ে দুপুর ৩টা ১২ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ট্রেনটি ছাড়ে।
ট্রেন ছাড়ার তিন মিনিট পর হঠাৎ বিকট শব্দে ট্রেনের বগি ঝাঁকুনি হয়। প্রথমে বুঝতে পারিনি ট্রেনে কি হয়েছে। পরে দেখি ট্রেন থেমে গেছে। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি পিছনের দিকে কয়েকটি বগি লাইন থেকে পড়ে গেছে। এসময় আমি ভয়ে আতংকিত হয়ে কাঁপতে থাকি।
ট্রেনের অন্য বগির যাত্রীরা লাফিয়ে মাটিতে পড়ছে। কিছু বুঝার আগেই আমিও প্রাণ বাঁচাতে ট্রেন থেকে লাফ দিই মাটিতে। এ সময় আমি হাতে পায়ে প্রচুর ব্যথা পাই। পরে দৌড়ে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার পর ট্রেন দুর্ঘটনার কথা জানতে পারি।
স্বর্না বলেন আমার বগির কেউ মারা যায়নি তবে অনেকে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে। জীবনে এমন ঘটনা কখনো দেখেনি। পরে বাসায় দুর্ঘটনার খবর জানায়। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। আতঙ্কের রেশ না কাটায় ভৈরব রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে কাপঁতে কাপঁতে কথাগুলো বলছিলেন এ শিক্ষার্থী।
এদিকে, দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলিম হোসেন শিকদার।
ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফাইটার মোশাররফ জানান, দুর্ঘটনাকবলিত এগারোসিন্ধুর গোধুলীর তিনটি বগি থেকে একে একে মরদেহ বের করা হচ্ছে। বগির নিচে অনেকে চাপা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারকাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
হতাহতের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এক খুদে বার্তায় এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেলওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি।