বাবা-মা আর সন্তানের লাশ দাফন হলো একসঙ্গে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:১৭ পিএম, ২ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
সাভারের আশুলিয়া থেকে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলের গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলবাড়িতে দাফন হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফুলবাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাদের পৃথক পৃথক জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলেকে পাশাপাশি কবর দেওয়া হয়।
এর আগে ভোরে ওই তিনজনের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনসহ এলাকাবাসী। শেষবারের মত তাদের মরদেহ দেখতে আশপাশের মানুষ ভিড় করে সেখানে। ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল, ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম রাজাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের দাফন কাজে অংশ নেয়।
এদিকে আলোচিত এই ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উম্মোচন করে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
গত শনিবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি (গরুড়া) গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মোক্তার হোসেন (৫০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২) এর গলা কাটা মরদেহ সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া ফকির বাড়ির মোড় এলাকার ৬ তলা ভবনের ৪ তলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্ত শেষে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মোক্তার ও শাহিদা পোশাক কারখায় কাজ করতো। তাদের ছেলে জয় সাভারের একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করতো।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করে নিহত মোক্তার হোসেনের বড় ভাই আইনাল হক বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন।