avertisements 2

ববির পরীক্ষায় ভাইরাল প্রশ্ন ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ জুন,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:৫৪ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না এবং শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’, ব্রিটিশ হিজিমনির আলোকে বিশ্লেষণ করো— এমনই প্রশ্ন এসেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষায়।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষায় আসা এই প্রশ্ন ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। কেউ কেউ প্রশ্ন উপযুক্ত এবং ভালো হয়েছে বলে যেমন মন্তব্য করলেও বেশিরভাগই নেতিবাচক মন্তব্যও করছেন। যদিও প্রশ্নপত্র তৈরি করা শিক্ষকের দাবি, প্রসঙ্গ না বুঝে অনেকেই যার যার অবস্থান থেকে সমালোচনা করছেন।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সে প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে হিজিমনি বোঝানোর জন্য সিনেমার এই ডায়ালগ বেছে নেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয়। এই শব্দগুলো সাধারণত মানুষ নেতিবাচক আলোচনায় তুলে আনে। অন্য অনেক উদাহরণ ছিল, যা দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা যেত। তাছাড়া প্রশ্নপত্রে বাংলা ভাষা ইংরেজি শব্দে উল্লেখ করা কতটা যৌক্তিক, সেটিও বিবেচনার বিষয়।

অন্য এক শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকের প্রশংসা করে বলেন, ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না, শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ বাক্যটিকে পারিপার্শ্বিক ধরে উপমহাদেশের ‘ব্রিটিশ হিজিমনি’ অর্থাৎ ব্রিটিশ আধিপত্যকে ব্যাখ্যা করতে বলেছেন একজন শিক্ষক। আমার কাছে ব্যাপারটা ভালোই লেগেছে বরং একটুও হাস্যকর মনে হয়নি।

‘ব্রিটিশ হিজিমনি’ সেই সময়কে নির্দেশ করছে, যে সময় ব্রিটিশরা তাদের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি দিয়ে আমাদের উপমহাদেশের সাধারণ জনগণের ওপর অবিচার করেছে। ১৮১৫ থেকে ১৯১৪ পর্যন্ত সময়কে মূলত এর অংশ ধরা হয়। আমরা জানি, এই সময় ব্রিটিশরা তাদের শক্তি দ্বারা পুরো বিশ্ব পরিচালনা করেছে।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দেহ পাবি মন পাবি না’ অর্থ আপনি শারীরিকাভাবে সুখ পাবেন কিন্তু মানুসিকভাবে সুখ পাবেন না। এই বিষয়টি স্যার আমাদের হাস্যরসাত্মকভাবে বুঝিয়েছেন।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সের শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, ‘এই প্রশ্নে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। এখানে নেতিবাচক কিছু নেই। এটি কোড আনকোড। যাদের পড়িয়েছি আমি, সেখানে টেক্সট-ডকুমেন্ট দেওয়া আছে। যারা হিজিমনি পড়েছে তারা কোনো সমালোচনা করবে না। হয়তোবা যারা জানেন না, তারা সমালোচনা করছেন। ব্রিটিশ রাজরা কীভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে হিজিমনিকে প্রতিষ্ঠা করেছে তার সঙ্গে এই লাইনটি যথাযথ উদাহরণ এবং এখনও প্রত্যেক জায়গায় হিজিমনি রয়েছে। এমনকি প্রশ্নপত্র নিয়ে এখন যেটি হচ্ছে, সেটিও হিজিমনির বহিঃপ্রকাশ।

এ বিষয়ে হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, কেন এমন শব্দ প্রশ্নপত্রে ব্যবহার করা হয়েছে, তার সঠিক ব্যাখ্যা যিনি প্রশ্নটি করেছেন তিনি বলতে পারবেন। যেহেতু একজন শিক্ষকের প্রশ্ন, সেহেতু তার কাছে এটার যৌক্তিক ব্যাখ্যাও আছে বলে আমি মনে করি।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2