‘স্যার’ না ডাকতে মতলব উপজেলা চেয়ারম্যানের নোটিশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:০১ পিএম, ২০ এপ্রিল,রবিবার,২০২৫

মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ কুদ্দুস। ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উমর ফারুক ব্যাক্তিগত কাজে রংপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যান। সেখানে জেলা প্রশাসককে ‘স্যার’ বলতে বাধ্য করায় তিনি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা হয়। এর মধ্যে বিপরীত একটি ফেসবুক পোস্ট দেখা গেছে চাঁদপুরে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুছ ‘স্যার’ না বলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে কার্যালয়ের সামনে নোটিশ লাগান। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস।
শনিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি তার কার্যালয়ে একটি নোটিশ টাঙিয়ে এ অনুরোধ জানান।
নোটিশে বলা হয়, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমার নির্বাচনী এলাকার সকল সাধারণ জনগণকে আগেও বিনীত আনুরোধ করেছি, আমাকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন না করার জন্য। আমি আপনাদের ভাই, বন্ধু, আপনাদের সেবক এবং আপনাদের সেবক হয়েই থাকতে চাই।’
নোটিশটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পোষ্ট করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস। ওই পোষ্টে শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও অনেক সাধারণ মানুষ লোক কমেন্ট করে ধন্যবাদ জানান।
নোটিশের বিষয়ে এম এ কুদ্দুস বলেন, আসলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার বাবার সময় থেকে চলাফেরা। তাই একটা আবেগ কাজ করে আমাদের মাঝে। তারা যখন আমাকে ‘স্যার’ বলে তখন নিজের কাছে বিব্রত লাগে।
মতলব উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে হয়তো চিন্তা করতে পারেন যে আমি অনেক বড় একটা পদে আছি আমাকে স্যার বলা খুব দরকার। কিন্তু আসলে তা নয়, আমি আসলে জনগণের সেবক হিসেবে থাকতে চাই। জনগণের ভাই, বন্ধু, কারো মামা, কারো কাকা হিসেবেই থাকতে চাই। কেউ ‘স্যার’ বললে নিজের কাছে তখন ছোট মনে হয়। কারণ আমার বেড়ে ওঠা সাধারণ জনগণের সঙ্গেই।
তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার কারণে আমার এ নোটিশ জারি নয়। সাম্প্রতিক ওই ঘটনা ঘটার আরও অনেক আগেই আমি এ নোটিশ জারি করেছি। আমি চাই জনগণের সঙ্গে আমার ভালোবাসা সম্পর্কটা সবসময় অটুট থাকুন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উমর ফারুক ব্যক্তিগত কাজে রংপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যান। সেখানে জেলা প্রশাসককে ‘স্যার’ বলতে বাধ্য করায় তিনি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা হয়।