ফতুল্লায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম হত্যা
৩০ লাখ টাকার জন্য ভাড়াটে খুনি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে হত্যা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:০০ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিমকে (৭২) ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করেছে একমাত্র ছেলে হাফেজ মাসুদ। সম্পতি ও নগদ ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতেই বাবাকে হত্যা করে ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হত্যাকাণ্ডের ১১ দিন পর ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানতে পেরেছে। তবে এখনও পলাতক আছে মাসুদ।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে বাবাকে হত্যার জন্য মিশুক চালক রুবেলকে (২৭) ভাড়া করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মাসুদ। তাদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করা রুবেল ঘটনার ২ দিন পর আত্মগোপন করায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের দিন রুবেলকে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির আশেপাশে দেখা গেছে। সেই কারণে সন্দেহভাজন হিসেবে গত শনিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার বোনের বাসা থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল জানিয়েছে- ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা উঠিয়ে বাসায় রেখেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বাবা। সেই টাকা আত্মসাতের জন্য ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে রুবেলকে ভাড়া করে মাসুদ। মাসুদের সহযোগিতায় রাত ১১ দিকে মুক্তিযোদ্ধার বাসায় গিয়ে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রুবেল।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫ লাখ টাকা দিয়ে রুবেলকে সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডড্রাইভ বাইরে ফেলে দিতে বলে। পরে ঘটনাটি অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য ডাকাতির নাটক সাজায়।
পিবিআই পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিমের মেয়ের জামাতার করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর রুবেলকে তার বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর তার কাছে থেকে ৪ লাভ ৪৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এরপর হত্যায় ব্যবহার করা বিভিন্ন আলামতও উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে রুবেল। মাসুদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।