নীরব আর্তনাদ
অজল জালাল
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫৯ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
প্রান্ত বদলে বসে আছি
শুধু তোমায় দেখবো বলে।
কিন্তু একি! চারিদিকে কিচির মিচির
বেনিয়া রাজনীতি আর হাটুরের দল!
ওরা তোমায় বেচা-কেনা করছে
সেরদরে বেচে ওরা সোয়া'সের হবে।
তোমার নাম সংকীর্তন করে
ওরা ধুপ কাঠির ধোঁয়াকে
তুষের আগুন বানিয়েছে।
দুহাজার এক ও পঁচাত্তরে দেখেছি ওদের।
ওদের গন্ডদেশের তেল চুয়ানি!
হবেইবা না কেন! শাহী খানার
দরবারি আয়োজনে স্বতঃস্ফুর্ত ওরা
এক টুকরোও যদি পড়তো তোমার পাতে।
তুমি কে? তুমি তো আমরা
যারা ধারন করে, ধরতে জানেনা।
আর ওরা? ওরা রাক্ষুসে পিরহানা –
সব দুমড়ে মুষড়ে ছত্রাখান করে চলেছে
বাংলার জমিনকে বিরানভূমি বানিয়ে।
ওরা শুনে নাকো; অবাধ্য সন্তানের দল
তাইতো ওরা আবোল তাবোল বেপরোয়া
দশেরার দৌড়ে এখন ব্যস্ত সমস্ত।
হয়তোবা বিজয়ার বিসর্জনের আটঘাট
ওদের ঠিক করাই আছে।
অবশিষ্ট আমরা! প্রান্ত বদলে এককোনে
শুধু তোমায় খুঁজি – হে পিতঃ।
তোমার সেই বজ্রকঠোর তেজদীপ্ত
হুংকারের শব্দটুকু বাঙালীর কান ছুঁয়ে
কন্ঠনালী বেয়ে সর্ব শরীরে মিশে
অন্তরাত্মায় সাঁতার কাটে এখনো।
কেমন করে ভুলি তোমায়!
সতের কোটির অশ্রুভেজা চোখ
ত্রাহি তথৈবচ, ক্ষন গুনে শুধু
তোমারই প্রত্যাগমনে।
হে পিতঃ – ফিরে এসো
দুখিনী বাংলার ঘরে।