সোনাগাছির মর্জিনারা
অজল জালাল
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ জুলাই,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৬:৩৭ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র! কোথায় তোমার
সেই সাজানো বজরা আর সোনাগাজির
অঙ্গুরিবালা মর্জিনাদের দল!
বাইজি নর্তকীদের ঠমক।
ময়ুর কেশরের কুর্নিশী পারিষদ
ঠিক আছে তো সব!
সোনাগাজী ধর্ষিত হয়ে সোনাগাছি বটে
মনোরঞ্জনের মর্জিনা মারিয়া নয় কেন?
গুগল তুমি কার হাতের কলম!
বিষাক্ত নিঃশ্বাসের রেশ তোমার আঁচড়ে!
বেশ আছি আমরা! সেই প্রাচীন মগধের
আর্য অনার্যায়ের কাকতালীয় বিভেদ নিয়ে
আল্পাসের পাদদেশে ককেশীয় ওরা
ভাগ্যান্বেশনে একদিন কৈলাস মুখী হোল।
সেই থেকে হাঁটতে হাঁটতে মিলেজুলে
সিন্ধুর কোল জুড়ে হিন্দু বনে গেল।
সে এক বিরস কাহিনী - উপাখ্যানও বটে
বাঞ্জারান আর্যদের কুশলী দাপটে
শক্তির পুজারী যারা দ্রাবিড় বলে খ্যাত
বশীভূত সুরাশুর ধর্মীয় আঁচলে।
পাল সেন আরো যারা পিতৃপুরুষ
নাম নিয়ে আদি পুরুষ হলেন
নৃ তত্ত্বের অভিধানে বহিরাগত বটে।
বখতিয়ারের ঘোড়দৌড়ে কাছা তুলে
গৌড় ছাড়ার বিবর্ণ কাহিনী।
শুনতে চান মহাকাল দেউদের কথা!
কিংবা গৌর গোবিন্দ নামধারী
আরো যত রায় আর রামচরন
রাজন্যের ছ্যুৎ অছ্যুত বিভাজনের
বিভৎস মনুষ্য আচরন!
যুগান্ত বিস্তৃত পথের কাল বিভাজনে
একে একে পর্তুগীজ পাঠান মুঘল
অবশেষে বৃটিশ বেনিয়া রাজ।
মগধের হৃৎপিন্ড খুবলে খামচে
হিন্দুস্তান ভারত অবশেষে বৃটিশ ইন্ডিয়া।
লুটেরা বেনিয়া আর রাজা সম্রাট
ভোগবাদী বর্ণ বৈষম্যের জমিনে।
কুঠিবাড়ি বাইজি বাড়ি সোনাগাজির আস্তানা, ভয়ংকর নিশি ডাকের চরাচর
মর্জিনা গিরিবালাদের অভয়ারন্য।
রাজা নবাবের রঙ মহলের ঝলমলে
আলোক ছটা সময়ের কাল পরিক্রমায়
আমত্য পারিষদ দেওয়ানীর উঠানে-
খেমটা নাচের আম চাহিদা এখন
নিষিদ্ধ পল্লীতে, যেন আদিমতার
নিকৃষ্ট পদচারনার মহা এন্তেজাম।
ভয়াবহ অদম্যের প্রাচীনতম
দিনগুলির সাজানো সোনা গাজি-
তুমি সোনাগাছিতেই
বেশ আছো!
-০-