মুক্তকথা
অজল জালাল
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৪২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
অনন্ত যৌবনের শক্তি নিয়ে
হিমালয় হতে বঙ্গোপ - সবখানে,
কঙ্কাল হাড্ডিসার তবুও উন্নত শির
সোমরস পান করা মনিকাঞ্চনসম।
দারিদ্রের ক্লিষ্টতায় পিষ্ট জনপদ
তবুও শক্ত তার শিরদাঁড়াখানি।
সুর্যসেন তিতুমীর - সেই হতে শুরু
রোকেয়া প্রীতিলতা-ওরা বীরজারা বটে।
রবির সোনার তরী নজরুলের অগ্নিবীনা
মিলেমিশে পুষ্টতায় বাংলার গোলা।
মুক্তির মিছিলে তারা দামাল বাঙালী
নক্ষত্ররাজির ন্যায় ঊর্ধাকাশে বাস।
কবে সেই মুজিবের বজ্রকন্ঠের ধ্বনি
বুকটান মাথা উঁচু বাঙালীত্বের স্বাদ।
অকাল প্রয়ানে শুন্য নেতৃত্বের গদি
হা-কপাল বাঙালী হায় পিষ্ট হয়,
ব্যারাকের বিধিবদ্ধ পোষাকীর বুটে।
তবুও আশার আলো মুক্তির মিছিলে
জয় আর জিন্দাবাদে প্রকম্পিত ভিত
বাঙালী আজ বাংলাদেশী শক্ত কোমরে।
তবুও কোথাও যেন ফাঁক রয়ে যায়
পারিবারিক হেঁসেল তৈরীর মহা-এন্তেজামে।
পিতা ঘোষকের নামে ওরা যুযুধান
স্বপক্ষ বিপক্ষ সেজে বিনি সুতো গাঁথে।
পরজীবি পদলেহীর গুচ্ছ আস্ফালনে
যাত্রা শুরু আনকোরা ভার্যা ও সুতির।
গণতন্ত্রের প্রকৃতি আজ উল্টোরথের টানে
এই দিবা ওই দিবা দিতে হবে মনের মতন।
ছিঁড়ে ফুঁড়ে টুকরো হোক সবকিছু
তবুও আমার মত চাহিদায় সব।
নইলে গণতন্ত্র থাকে না যে!
জানামতে এজমিনে আমরাই দু'জন
দেশনেত্রী দেশরত্ন
পরম্পরায় ছত্রপতি মোরা।
কার ঘড়ে ক'টা মাথা
ভিন্নমত পোষনে সক্ষম?
বিশুদ্ধ রাজনীতির আহাম্মক যারা
খাবি খায় পঁচা প্যাঁক পুকুরের
কাতলা মাছসম।
আর হাড়জিরে বাঙালী!
কত কাল এভাবে
বাঁদর নাচন?